রাজধানীতে ৬৮ ওয়াকিটকি জব্দ, গ্রেফতার ১

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ৬৮ টি ওয়াকিটকি সেট, ওয়াকিটকির ব্যাটারী, চার্জার, ওয়াকিটকির হেডফোন এবং মোবাইলফোনসহ রাকিবুল ইসলাম (২৩) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) র‍্যাব-৩ এর পুলিশ সুপার (মিডিয়া) বীণা রানী দাসের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় একটি ভবনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় রাকিবুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৬৮টি ওয়াকিটকি সেট, ১৫টি ওয়াকিটকির ব্যাটারি, ৫২টি চার্জার, ৫৩টি ওয়াকিটকির হেডফোন ও দুইটি মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেফতার ব্যক্তি একজন ঠিকাদার হিসেবে বৈধ লাইসেন্স দিয়ে অবৈধভাবে বেতার যন্ত্র ওয়াকিটকি সেট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রয় করে আসছে। উদ্ধারকরা এসব ওয়াকিটকি ও যন্ত্রাংশ ব্যবহার সংক্রান্ত লাইসেন্স বা কোন ধরনের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি।

তার কাছ থেকে উদ্ধার করা এসব ওয়াকিটকি সেটের ফ্রিকোয়েন্সি ২৪৫-২৪৬ মেগাহার্জ। এসব ওয়াকিটকি ব্যবহার করে রিপিটার ছাড়া আধা মাইল পর্যন্ত যোগাযোগ করা সম্ভব। এছাড়াও বহুতল ভবনের মধ্যে উপরতলা থেকে নীচতলায় যোগাযোগ করা সম্ভব। এসব ওয়াকিটকির দাম পাঁচ হাজার হতে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত। ব্যাটারির চার্জ ধারণের ক্ষমতা অনুযায়ী ওয়াকিটকির দামের তারতম্য হয়ে থাকে। এছাড়াও অপরাধীদের কাছে ওয়াকিটকি সেট বিক্রয় করেছে কি না এই বিষয়ে কোন সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি।

সাম্প্রতিক সময়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে নানা অপরাধ করা হচ্ছে জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের সাধারণ জনগণ ওয়াকিটকি বহনকারী একজন ব্যক্তিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ওয়াকিটকি সেট ব্যবহার করে অপরাধীরা ভুয়া ডিবি, র‍্যাব সদস্য, ডিজিএফআই সদস্য, এনএসআই সদস্য এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়সহ মারাত্মক অপরাধ করে আসছে।

এতে করে একদিকে যেমন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, অন্যদিকে প্রকৃত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যখন সাদা পোশাকে দায়িত্বপালনের প্রয়োজন হয় তখন জনসাধারণ তাদেরকে ভুয়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভেবে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। এছাড়াও ওয়াকিটকির মাধ্যমে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করে অপরাধ সংগঠন করলে পরবর্তীতে অপরাধী শনাক্তকরণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হবে। যা সার্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

ওয়াকিটকি সেট ব্যবহার সংক্রান্ত লাইসেন্স ও কারিগরি গ্রহণযোগ্যতা সংক্রান্ত সনদ ব্যতীত ওয়াকিটকি সেট ব্যবহার করে অপরাধ করায় রাকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানায় র‍্যাব-৩।