‘রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করতে হবে’
রামপালে নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নিয়ে গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, ‘এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই গৃহীত হয়েছে, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই এটা বাতিল করতে হবে।’
আজ রোববার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির আজকের সভার প্রেক্ষাপটে রামপাল প্রকল্প ও সুন্দরবনের পরিস্থিতি মূল্যায়ন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ আবুল মকসুদ এসব কথা বলেন।
সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘পিওর অ্যান্ড সিম্পল এটা হার্ন্ডেড পারসেন্ট রাজনৈতিক বিষয়। এবং এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই গৃহীত হয়েছে, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই এটা বাতিল করতে হবে। এটা আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজির কথা সরকার বলেছে, আমার মনে হচ্ছে এই প্রকল্পটি যদি শেষ পর্যন্ত বাতিল করা না হয় তাহলে এটা হবে আল্ট্রা সুপার একটা একগুঁয়েমি। এবং জোর জুলুম করে যদি এটা করাই হয় তাহলেও আল্ট্রা সুপার একটা অপমান আমরা পৃথিবী থেকে পাব।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পোল্যান্ডে আজ থেকে শুরু হয়েছে ইউনেস্কোর ৪১তম অধিবেশন। চলবে ১২ জুলাই পর্যন্ত। বিশ্ব ঐতিহ্য সংস্থা তাদের তালিকাভুক্ত বিশ্ব ঐতিহ্যগুলোর বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলাচনা করবে এই অধিবেশনে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের কারণে এই অধিবেশনে সুন্দরবন বিশ্ব ঐতিহ্যের ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলে বাংলাদেশের জন্য তা ভালো হবে না বলে উল্লেখ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘সরকার তাদের ভূল অবস্থান থেকে সরে এসে রামপাল প্রকল্প বাতিল করুন। আমরা আশাবাদী যে ইউনেস্কোও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ প্রশ্ন রাখেন, ‘যদি ইউনেস্কো সুন্দরবনকে বিপন্ন বলে ঘোষণা করে তাহলে সরকার কী করবে?’
কোনো প্রচ্ছন্ন শক্তি এই প্রকল্প করতে সরকারকে বাধ্য করছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম।
দেশের আর মানুষের স্বার্থে কম ক্ষতি হয় এমন কোনো স্থানে এই প্রকল্প সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন