রাজারবাগ হাসপাতালেই পৌনে ৩০০ পুলিশ, কাতরাচ্ছেন ৬৯

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে সংঘর্ষের ঘটনায় এক হাজার ১১৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) পর্যন্ত ৬৯ জন পুলিশ সদস্য রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাদের মধ্যে তিনজন আইসিইউতে। অনেকের অবস্থাই গুরুতর।

বুধবার (২৪ জুলাই) পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দুর্বৃত্তদের হামলায় এক হাজার ১১৭ জন পুলিশ সদস্যের মধ্যে ১৩২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। হামলার শিকার হয়ে মৃত্যু হয়েছে তিন পুলিশ সদস্যের।

এদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের পিবিআইয়ে কর্মরত এসআই মাসুদ পারভেজ রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন। তাকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। গিয়াস উদ্দিনকে যাত্রাবাড়ী এলাকায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়। অন্যদিকে ট্যুরিস্ট পুলিশের এসএসআই মুক্তাদিরকে রামপুরা থানা এলাকায় হত্যা করা হয়।

বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ বিঘ্ন হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগবাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ বিঘ্ন হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
জানা গেছে, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল ছাড়াও ঢাকা মেডিকেল, সোহরাওয়ার্দীসহ অন্যান্য হাসপাতালে অনেক পুলিশ সদস্য চিকিৎসা নিয়েছেন। এখনও অনেক পুলিশ সদস্য ভর্তি রয়েছেন।

রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল ও ডিএমপিতে কর্মরত একাধিক পুলিশ সদস্য বলেন, পুলিশের ওপর এমন হামলা তারা কখনো দেখেননি। বেশির ভাগেরই মাথায় আঘাত করা হয়েছে। এমনকি ডিউটিতে না থাকলেও পুলিশ পরিচয় জানলে হামলা করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে পুলিশ হাসপাতালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও পরিদর্শন) মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ২৭৭ জন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়ে এই হাসপাতালে এসেছেন। এদের মধ্যে ৮৩ জনকে ভর্তি করা হয়েছিল। বর্তমানে ৬৯ জন ভর্তি রয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত।

এর আগে সরকারি চাকরির কোটা সংস্কার আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা রাজধানীসহ সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। হামলা করেছে পুলিশের ওপরও।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, পুলিশের ওপর এমন তাণ্ডব তারা কখনো দেখেননি। রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল ছাড়াও ঢাকা মেডিকেল, সোহরাওয়ার্দীসহ অন্যান্য হাসপাতালে অনেক পুলিশ সদস্য চিকিৎসা নিচ্ছেন।