ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে অর্ধলক্ষাধীক গ্রাহক
রাণীনগরে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে পল্লীবিদ্যুৎ সাব-ষ্টেশনের কাজ
কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর (নওগাঁ) : নওগাঁর রাণীনগরের আবাদপুকুর এলাকায় প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যায়ে পল্লী বিদ্যুতের সাব-ষ্টেশনের কাজ খুব দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এ মাসে কাজ শেষ করে আগামী মাসেই ষ্টেশনটি চালু করা হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ষ্টেশনটি চালু হলে একদিকে যেমন লো-ভোল্টেজের হাত থেকে রক্ষা পাবে, তেমনি লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলবে উপজেলার অর্ধ লক্ষাধীক গ্রাহকের।
জানাগেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে বর্তমানে পল্লী বিদ্যুতের ৫০ হাজার ৩ শত গ্রাহক রয়েছে। এতোগুলো গ্রাহকের জন্য রাণীনগর উপজেলার চকমুনু সাব-ষ্টেশন থেকে পুরো রাণীনগর উপজেলা বিদ্যুৎ সরবরাহ কর হয়। বৃহৎ উপজেলার কোথাও ঝড়-বৃষ্টির কারনে গাছের ডাল ভেঙ্গে অথবা কোন সমস্যা দেখা দিলে ষ্টেশনটি বন্ধ রেখে কাজ করতে পুরো উপজেলাবাসী ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎহীন হয়ে পরে। ফলে নানা রকম কাজকর্ম নিয়ে ভোগান্তিতে পরতে হয় গ্রাহকদের। এছাড়া অধিক দুরত্ব থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে গিয়ে অধিকাংশ সময় লো- ভোল্টেজের সমস্যাসহ অনাকাংখিত লোডশেডিংয়ে পরে গ্রাহকরা। ফলে বিশেষ করে ইরি/বোরো মৌসুমে জমিতে পানি সেচসহ নানারকম ভোগান্তি পোহাতে হয় বিদ্যুৎ চালিত গভীর/অগভীর নলকূপ ও শিল্প প্রতিষ্ঠানকে । বর্তমান সরকার এর প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ,ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ,এই শ্লোগানকে সামনে রেখে উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করায় শুধু মাত্র একটি সাব-ষ্টেশন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে গিয়ে গ্রাহক সেবার মান অনেকটায় ভেঙ্গে পরে। গ্রাহকদের দোরগোরায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে এবং সেবার মান উন্নয়নে স্থানীয় সাংসদ ইসরাফিল আলম এর একান্ত প্রচেষ্টায় ১০ মেগাওয়াড ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন আরো একটি সাব-ষ্টেশন কাজের জন্য প্রকল্প হাতে নেয় কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট সুত্র মতে আবাদপুকুর এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের একটি সাব-ষ্টেশন নির্মান করার জন্য জমি ক্রয় করে গত জানুয়ারী মাসে কাজ শুরু করা হয়। রাজশাহী ডিভিশনাল প্রজেক্ট -২ (আর আর ডি পি-২) এর আওতায় প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যায়ে সরকারী অর্থায়নে নির্মান কাজ শুরু হয়। ইতি মধ্যে নির্মান কাজ বেশ এগিয়েছে। তবে আগামী মাসে ষ্টেশনটি চালু করার লক্ষে খুব দ্রæত গতিতে কাজ করছেন সংশ্লিষ্টরা। ষ্টেশনটি চালু হলে রাণীনগর চকমুনু ষ্টেশন থেকে চারটি এবং আবাদপুকুর ষ্টেশন থেকে কালীগ্রাম,পারইল,একডালা ও বড়গাছা ইউনিয়নের জন্য চারটি ফিডারে ভাগ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। এতে একদিকে যেমন লো-ভোল্টেজের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে অন্য দিকে মেইন লাইনে লোড শেডিং ছাড়া কোন লোড শেডিং থাকবে না। ফলে সব সমই নিরবিচ্ছিন্ন কাংখিত মানের ভোল্টেজে বিদ্যুৎ সরবরাহ পাবেন গ্রাহকরা। এতে করে উপজেলার অর্ধলক্ষাধকি গ্রাহক ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে।
এব্যাপারে নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর রাণীনগর সাব জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আসাদুজ্জামান জানান,স্থানীয় এম’পি ইসরাফিল আলম এর একান্ত প্রচেষ্টায় প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যায়ে আবাদপুকুর এলাকায় ১০ মেগাওয়াড ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি সাব-ষ্টেশন নির্মান করা হচ্ছে। এ মাসেই কাজ শেষ করে আগামী মাসেই ষ্টেশনটি চালু করার লক্ষে খুব জোরে-সোরেই কাজ করা হচ্ছে। ষ্টেশনটি চালু হলে উপজেলার অর্ধ লক্ষাধীক সু্িবধাভোগী গ্রাহক নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা পাবেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন