রাণীনগরে মারপিট মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে : ১০ দিনেও গ্রেফতার হয়নি কেউ
কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর (নওগাঁ) : নওগাঁর রাণীনগরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করার ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রায় ১০ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। বাদী পক্ষের দাবী আসামীরা প্রকাশ্যে বাড়ীতে থেকে নানা রকম হুমকি-ধামকি দিলেও পুলিশকে জানিয়ে কোন ফল পাচ্ছেন না। ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভোক্তভুগিরা।
দায়েরকৃত মামলা ও বাদী সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার বেলবাড়ী গ্রামের মৃত শামছুর রহমানের ছেলে মো: সম্রাট এর পৈত্রিক পুকুরে গত ১৭ নভেম্বর দুপুরে একই গ্রামের মৃত গফুর মন্ডল ওরফে লেদা’র ছেলে মো: টাইগার প্রাং গফুর মন্ডলের ছেলে মো: তৈয়ব মন্ডল জ্বোরপূর্বক মাছ ধরতে নামে। এসময় সম্রাট ও তার লোকজন বাধা দিলে সম্রাটকে মারপিট করার হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়। ওই দিন রাতে সম্রাট ও তার মামাত ভাই মো: এদাদুল পুকুর পাহারা দিতে যাবার সময় পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক মৃত ইব্রাহীম মন্ডলের ছেলে মো: গফুর মন্ডলের নের্তৃত্বে হাসুয়া, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড ও বাঁশে লাঠী দিয়ে এ্যালোপাথারী ভাবে মারপিট করতে থাকে। এসময় স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে তাদেরকে গুরুত্বর জখম অবস্থায় স¤্রাট ও এবাদুলকে উদ্ধার করে রাণীনগরে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। মারপিটের সময় হামলাকারীরা আহত এবাদুলের ব্যবহারিত গলার ৮ আনার স্বর্ণের চেইন ও সম্রাটের এইচটিসি ডিজেআর-৮২৬ মডেলের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এঘটনার পরের দিন হামলাকারী টাইগার প্রাং পাল্টা সম্রাট ও তার লোকজনের উপর মামলা দায়ের করেন।
এরপর আহতদের অবস্থার উন্নতি হলে ২৬ নভেম্বর ২০১৭ইং (মামলা নং-১৫) তারিখে স¤্রাটের মামা মো: বদির খান বাদী হয়ে একই গ্রামের হামলাকারী মৃত ইব্রাহীম মন্ডলের ছেলে মো: গফুর মন্ডল (৪৮), মৃত আজিজার প্রাং এর ছেলে হাফিজার প্রাং (৫০), মৃত গফুর প্রাং এর ছেলে মো: বারেক প্রাং (৩৮), হাফিজার প্রাং এর ছেলে মো: রাসেল (২৫), মৃত গফুর প্রাং এর ছেলে টাইগার প্রাং (৪৩), মো: গফুর মন্ডলের ছেলে তৈয়ব মন্ডল (১৯) ও তোরাব মন্ডল (২৮) কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে আসামীরা প্রকাশ্যে বাড়ীতে থাকলেও থানাপুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করছে না বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী বদির খান।
মামলার বাদী বদির খান জানান, প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদেরকে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করলেও তারাই পাল্টা আমাদের নামে মামলা দায়ের করেছেন এবং আমরা মামলায় জামিনে আছি। কিন্তু আমাদের মামলায় আসামীরা জামিন না নিয়েই প্রকাশ্যে বাড়ীতে থেকে আমাদেরকে নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। ফলে পরিবারের লোকজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতাই রয়েছি। এব্যাপারে থানাপুলিশকে বার বার জানালেও আসামী ধরবো ধরছি করে সময় পার করছে, কিন্তু কোন আসামী ধরছেনা।
এব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তরিকুল ইসলাম বাদী পক্ষের অভিযোগ নাকচ করে জানান, আসামীরা পলাতক থাকায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি তবে আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন