রাবিতে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে হল প্রহরীকে মারধরের অভিযোগ
ইয়াজিম পলাশ, রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে হল প্রহরীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলে এই ঘটনা ঘটে।
মারধরকারী ছাত্রলীগ নেতার নাম রাতিক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সামাজিক অনুষদ শাখার সাধারণ সম্পাদক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুরে ছাত্রলীগ নেতা রাতিক তার এক গেস্টকে নিয়ে হলে প্রবেশ করে। এসময় হল প্রহরী নওশাদ গেস্টের পরিচয় জানতে চায়। রাতিক তার গেস্টের পরিচয় দিলে প্রহরী নওশাদ, রাতিককে জানায়, আপনি আপনার গেস্টকে রুমে নিতে চাইলে প্রভোস্ট স্যারের অনুমতি লাগবে। বিষয়টি নিয়ে প্রহরী নওশাদ ও ছাত্রলীগ নেতা রাতিকের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
রাতিক তখন উচ্চ কণ্ঠে চিৎকার করে বলেন, আমাকে তুই চিনিস, আমি এই হলের নতুন দায়িত্ব পেয়েছি। তোকে এখানে কে রেখেছে? তোকে লাথি মেরে এখান থেকে বের করে দিব। এসময় প্রহরী নওশাদ, রাতিকের রুম নম্বর জানতে চান। তখন রাতিক ক্ষেভে গিয়ে নওশাদকে কিল-ঘুষি মারেন এবং বলেন আমি কত নম্বর রুমে থাকি পারলে আমার সঙ্গে এসে দেখে যা। আমার কাছে জানতে চাচ্ছিস কেন?
এ বিষয়ে প্রহরী নওশাদ বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার সময় হলে পরীক্ষার্থী ছাড়া অন্য কোনো গেস্ট রাখার অনুমতি নেই। এ বিষয়ে হলে নোটিশও দেয়া হয়েছে। কিন্তু রাতিক ভাই ওনার পরিচয় দেয়াতে ওনাকে আমি প্রভোস্ট স্যারের সঙ্গে কথা বলতে বলি। এতেই ওনি তেড়ে এসে আমাকে মারধর করেন।’
তবে রাতিকের দাবি, ‘হল প্রহরীকে কোনো মারধর করা হয়নি। আমার এক ভর্তি পরীক্ষার্থীর বড় ভাইকে রুমে নিয়ে যাচ্ছিলাম। এসময় হল প্রহরী আমাকে বাধা দেয়। তাকে আমার পরিচয় দেই এবং প্রভোস্টের অনুমতি নিয়ে নিচ্ছি বলে জানালেও তিনি আমাকে যেতে বাধা দেন। তাই ওনাকে ধাক্কা দিয়ে আমার গেস্টকে আমি রুমে নিয়ে আসি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদার বখশ হলের প্রভোস্ট আবদুল আলিম বলেন, ‘গেস্ট রাখার জন্য কেউ আমার কাছে অনুমতি চায়নি। মারধরের বিষয়টি আমি শুনেছি। বিষয়টি আমি দেখছি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন