রাম রহিমের মূল আশ্রম থেকে ১৮ নাবালিকা উদ্ধার
ভারতের হরিয়ানার বিতর্কিত ধর্মগুরু রাম রহিমকে ধর্ষণের মামলায় সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এদিকে বিতর্কিত এই ধর্মগুরুর ডেরা সাচ্চা সওদার মূল আশ্রম থেকে ১৮ জন নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
রাম রহিমের জেলে যাওয়ার পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে দেশটির সেনাবাহিনী। ভেতরে তল্লাশি অভিযান চলছে।
রাম রহিম জেলে যাওয়ার পরই সিরসায় ডেরার আস্তানা থেকে তার পরিবার ও পালিত কন্যা হানিপ্রীত বেপাত্তা। কিন্তু তখন তল্লাশিতে কিছুই না মেলায় হরিয়ানা প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতি ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ রাম রহিমের পরিবারকে পালানোয় মদত দিয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। অবশ্য পুলিশ দাবি করে প্রায় ১০০০ একর জায়গার ওপর এই আশ্রমে তল্লাশি চালানো একদিনের কাজ নয়। এরপর প্রায় এক সপ্তাহ পরে ডেরা হেডকোয়ার্টার থেকে বিপুল অস্ত্র -শস্ত্র উদ্ধারের দাবি করল পুলিশ। ডেরা হেডকোয়ার্টারে তল্লাশি অভিযানে ১৮জন নাবালিকা ও ৩৪ জন নাবালককেও উদ্ধার করা হয়েছে।
অপরদিকে রোহতক জেলে এখন অনেকটাই ধাতস্থ হয়েছেন রাম রহিম। জেলে বাগানের কাজেও লেগেছেন তিনি। দৈনিক ৪০ টাকা মজুরি দেওয়া হবে তাঁকে। তবে এখনও মাঝে -মধ্যেই দেওয়ালের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। অভিযোগ করেছেন জেলের খাওয়া- দাওয়া নিয়েও।
উল্লেখ্য, ধর্মগুরু রাম রহিম ডেরা সাচা সাওদার প্রধান। তার অধীনে ৩৮টির মতো আশ্রম রয়েছে। মূল আশ্রমটি হরিয়ানার সিরসায়। গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে জনপ্রিয়তা কুড়ালেও তার জীবন-যাপন নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। আশ্রমের নারী সেবিকাদের ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। খুনের অভিযোগও আছে। তার অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বললে নানাভাবে তাদের হয়রানি করা হতো। তার অর্থের উৎস নিয়েও বিতর্ক রয়েছে।
আশ্রমের দুই নারীকে ধর্ষণের দায়ে পৃথক দুই মামলায় ১০ বছর করে মোট ২০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে তার। এখন তিনি রোতাকের কারাগারে সাধারণ আসামির মতো সাজা খাটছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন