রাশিয়া-উত্তর কোরিয়া প্রতিরক্ষা চুক্তিতে বাড়বে চীনের সঙ্গে সংঘাত:মার্কিন কর্মকর্তা

গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফর করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সফরে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সঙ্গে বেশ কিছু চুক্তি হয়েছে তার। যার মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তিও রয়েছে। যা এখন মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। তবে তাদের দাবি, উত্তর কোরিয়া-রাশিয়ার মধ্যে এই প্রতিরক্ষা চুক্তি সংঘাত বাড়াবে চীনের সঙ্গে।

উত্তর কোরিয়া-রাশিয়ার প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে এমনটিই মন্তব্য করেছেন মার্কিন বিমানবাহিনীর জেনারেল সি.কিউ.জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান ব্রাউন।

রাশিয়া-উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে এখন অন্য কেউ যুক্ত হলো যারা কিনা এখন তাদের ধাক্কা দিচ্ছে, যাতে (চীন) এবং রাশিয়ার মধ্যে একটু বেশি সংঘর্ষ চালতে পারে। সুতরাং এই তিনটি দেশ কীভাবে এখন এটি মোকাবেলা করে সেটা দেখতেই মুখিয়ে আছি আমরা। তবে বিষয়টি দেখতে বেশ আকর্ষণীয়ই হবে।’

তার এমন বক্তব্যের কারণ, বিশ্লেষকদের মতে, গত বুধবার পুতিন-উনের স্বাক্ষরিত এই চুক্তিটি তার দুই প্রতিবেশীর উপর বেইজিংয়ের প্রভাবকে হ্রাস করতে পারে। সেই সঙ্গে আগামীতে চীনের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও কৌশলগত উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য যা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

মার্কিন ওই কর্মকর্তারা মতে, উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার কাছ থেকে যুদ্ধবিমান, সারফেস টু এয়ার মিসাইল, সাঁজোয়া যান, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন সরঞ্জাম বা উপকরণ এবং অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তি অর্জন করতে আগ্রহী। যা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি একটি বিস্তৃত চুক্তি যা অতিরিক্ত বাধ্যতামূলক নয়। তবে এটি আপনাকে একটি ইঙ্গিত দেয় যে তারা একসাথে কাজ করতে চায় কিন্তু তারা তাদের হাত বাঁধতে চায় না।’

তবে বিশ্লেষকদের মতে, পুতিন এবং কিমের স্বাক্ষরিত চুক্তিতে উভয় পক্ষকে তাদের একজনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আগ্রাসনের ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সামরিক সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে পুতিন বলেছেন, মস্কো আশা করেছিল যে উত্তর কোরিয়ার সাথে তার সহযোগিতা পশ্চিমের জন্য প্রতিবন্ধক হিসাবে কাজ করবে, তবে ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের ব্যবহার করার দরকার নেই তার। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের দাবি, উত্তর কোরিয়া ইতিমধ্যে রাশিয়াকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আর্টিলারি শেল এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে। যদিও তাদের এই দাবি মস্কো এবং পিয়ংইয়ং অস্বীকার করে আসছে শুরু থেকেই।