রাষ্ট্রপতির গাড়ি আটকে অ্যাম্বুল্যান্সকে আগে যেতে দিয়ে, পুরষ্কার পেল ট্রাফিক অফিসার

‘জি হুজুর’… ‘ইয়েস স্যার’। নেতাদের সামনে পুলিশের বক্তব্য নাকি এই দু’টি শব্দেই সীমিত। জুতো বয়ে নিয়ে যাওয়া থেকে গরিব পেটানো- নেতার ‘বেদবাক্যে’ সব কিছুতেই হ্যাঁ খাকি পোশাকধারীদের। তবে ব্যতিক্রম যে নেই তা নয়।

এমনই এক ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী থাকল বেঙ্গালুরু। খোদ রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কনভয় থামিয়ে একটি অ্যাম্বুল্যান্সকে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন ট্রাফিক পুলিশের এক অফিসার। এমন মানবিক মুখ তুলে ধরেই লক্ষ লক্ষ দেশবাসীর মন জয় করে নিয়েছেন ওই অফিসার। দেশ জুড়ে বয়ে যাচ্ছে প্রসংশার ঝড়।

ঘটনাটি শনিবারের। বেঙ্গালুরু জুড়ে বাড়িয়ে তোলা হয়েছে নিরাপত্তা। পুলিশ কর্তাদের ব্যস্ততার অন্ত নেই। কারণ, শহরে মেট্রোর গ্রিন লেন উদ্বোধন করতে আসছেন স্বয়ং রাষ্ট্রপতি। তাই তাঁর কনভয়ের গতিপথে বিশেষভাবে মোতায়েন করা হয়েছে অভিজ্ঞ ট্রাফিক অফিসারদের।

ওপরওয়ালাদের কড়া নির্দেশ, কোনওরকম গাফিলতি যেন না হয়। সেদিন শহরের ট্রিনিটি সার্কেলে মোতায়েন ছিলেন কেরল ট্রাফিক পুলিশের অফিসার নিজালিঙ্গাপ্পা। রাষ্ট্রপতির কনভয়টিকে পার করতে সাধারণের জন্য সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই পথে কনভয়টি আসার কিছুক্ষণ আগে কর্তব্যরত অফিসার একটি অ্যাম্বুল্যান্স দেখতে পান।

পথ বন্ধ থাকায় রোগী নিয়ে এগিয়ে যেতে পারছিল না গাড়িটি। এমনই পরিস্থিতিতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এগিয়ে এলেন নিজালিঙ্গাপ্পা। উর্ধ্বতন আধিকারিকদের সঙ্গে মুহূর্তের মধ্যে যোগাযোগ করে খোদ রাষ্ট্রপতির কনভয় আটকে অ্যাম্বুল্যান্সটিকে পথ করে দেন তিনি। রাষ্ট্রপতির গাড়ি আটকে অ্যাম্বুল্যান্সকে আগে যাওয়ার সুযোগ দেয় আর এই ঘটনাটি জানাজানি হতেই নিজালিঙ্গাপ্পার প্রসংশায় ভরে যায় সোশ্যাল মিডিয়া।

শুধু তাই নয় এই অসাধারণ পদক্ষেপের জন্য রবিবার পুলিশ বিভাগ হতে পুরস্কৃত করা হয় সেই ট্রাফিক অফিসারকে। তবে মাটির মানুষ নিজালিঙ্গাপ্পার বক্তব্য, পরিস্থিতির প্রয়োজনেই তাঁর এই পদক্ষেপ। যাই হোক না কেন, তাঁর মতো কিছু দায়িত্ববান অফিসারদের জন্যই আজও পুলিশ বিভাগের উপর সম্পূর্ণরূপে আস্থা হারায়নি জনগণ।-সংবাদ প্রতিদিন