রাস্তায় খাবার বিক্রেতা থেকে দেশের প্রেসিডেন্ট!
স্বাধীনতার প্রায় ৪৭ বছর পর বহু সংস্কৃতির নগর-রাষ্ট্র সিঙ্গাপুরের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন সাবেক স্পিকার হালিমা ইয়াকুব (৬২)। মালয় জাতির দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে দেশটির সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদে বসতে যাচ্ছেন তিনি। সিঙ্গাপুরের অষ্টম প্রেসিডেন্ট হিসেবে বৃহস্পতিবার দায়িত্ব নেবেন তিনি।
১৯৫৪ সালের ২৩ আগস্ট কুইন স্ট্রিটে হালিমাহর জন্ম। তিনি পরিবারের ৫ সন্তানের সবচেয়ে ছোট। ১৯৬২ সালে ৮ বছর বয়সে বাবা মারা যান। আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকায় তার মা হকার লাইসেন্স নিয়ে রাস্তার পাশে একটি খাবারের স্টল দিয়েছিলেন। সেখানে হালিমাহ তার মাকে স্টলটি পরিষ্কার, বাসনপত্র ধৌতকরণ, টেবিল পরিষ্কার, কাস্টমারদের খাবার পরিবেশন প্রভৃতি কাজে সাহায্য করতেন।
১৯৬০’র শেষের দিকে তিনি সিঙ্গাপুর চাইনিজ গার্লস স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৭০ সালে তিনি তানজং ক্যানটং গার্লস স্কুলে এবং পরে সিঙ্গাপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি ন্যাশনাল ট্রেডস ইউনিয়ন কংগ্রেসে (এনটিইউসি) একজন আইন কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। তিনি সেখানে ৩০ বছর কর্মরত ছিলেন এবং ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল হয়েছিলেন। ১৯৮০ সালে তিনি তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আলহাবসিকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে ৫ ছেলেমেয়ে রয়েছে, যাদের বর্তমানে বয়স ২৬ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে।
২০০১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী গোহ চোক টংয়ের অনুরোধে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এবং তখন থেকে ৪টি সাধারণ নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করেন। ২০১১ সালে তিনি সামাজিক উন্নয়ন, যুব ও খেলাধুলা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন। ২০১৩ সালে তিনি দেশটির সংসদে প্রথম নারী স্পিকার নিযুক্ত হন। ২০১৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সাধারণ নির্বাচনের দিন তিনি তার মাকে হারান। তিনি মাকে হারানোর ঘটনাকে তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখজনক মুহূর্ত বলে উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য সিঙ্গাপুরে প্রেসিডেন্ট প্রধানত একটি আনুষ্ঠানিক পদ; দেশটির নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন