রাস্তা নিয়ে বিরোধে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে হামলা, মহিলা মেম্বার শ্রীঘরে
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ভূমদক্ষিণ গ্রামে পায়ে হাঁটার রাস্তা নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় ৪ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া বসতবাড়িতে ঢুকে ঘর ভাংচুরের ঘটনায় ফাঁসিয়ে জনৈক মহিলা মেম্বারকে আসামী করে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ ওঠেছে প্রতিবেশী শরিফ উল্লাহদের বিরুদ্ধে।
বুধবার(১৯ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে ওই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় আহতরা হলেন-ওই এলাকার মৃত.কুয়েত আলীর ছেলে সুকুম আলী(৭০), শেখ আরশেদ আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম(৪৫), রনি শেখ(১৬),এবং পার্শ্ববর্তী জয়মন্টপ ইউনিয়নের চর দূর্গাপুর গ্রামের আব্বাছ আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম(২১)।
শনিবার (২২ জুন)দুপুরে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,মৃত.খলিলের ছেলে জুবায়েরদের সাথে প্রতিবেশি শরিফ উল্লাহ গংয়ের দীর্ঘদিন যাবৎ পায়ে হাটার রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর মধ্য জুবায়ের গং বসতঘর ভেঙ্গে মেরামত করতে গেলে প্রতিপক্ষ শরিফ উল্লাহরা বাঁধা দেয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে অভিযুক্ত শরিফ উল্লাহ গং ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে জুবায়েরের বাড়িতে ঢুকে তার লোকজনকে মারধর করে বসতঘর ভাংচুর করে। এ সময় ৪ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৩ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেন। আহত সুকুম আলীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন। পরদিন ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী জুবায়ের গং থানায় মামলা দায়ের করলে প্রতিপক্ষ শরিফ উল্লাহরাও পূর্ব শক্রতার জেরে মহিলা মেম্বার মনোয়ারা বেগমকে আসামী করে আব্দুল আলীমের স্ত্রী নাজমা আক্তারকে বাদী বানিয়ে পাল্টাপাল্টি মামলা করে । এতে পুলিশ ওই মেম্বারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেন। গ্রেপ্তারকৃত নারী ইউপি সদস্যের বড় ছেলে মো: মিষ্টার (৪০)অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার সময় আমার মা ও আমি থানায় অভিযোগ নিয়ে গিয়েছিলাম। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আমরা বাড়িতে ফিরে যাই। তারপরেও আমার মায়ের নামে মিথ্যা মামলা হয় এবং পুলিশ তাকে ডেকে নিয়ে গ্রেপ্তার করে জেল-হাজতে পাঠায়।
অভিযুক্ত শরিফ উল্লাহর স্ত্রী আদরজান বলেন, রাস্তা নিয়ে নয় ,আমাদের ১০ শতাংশ জায়গার মধ্যে ৭ শতাংশ নিয়ে মামলা চলছে। বাকি ৩ শতাংশ জমিতে বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ করতে গেলে তারা বাঁধা দেয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ উল্টো আমাদের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুরসহ মারধর করে। এর জের ধরে আমাদের লোকজনও তাদেরকে মারধর করে।
এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার ইন্সপেক্টর(তদন্ত) শেখ আবু হানিফ বলেন,পাল্টাপাল্টি দুটি মামলার একটিতে নারী ইউপি সদস্য আসামি হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে দু’পক্ষের দায়ের করা মামলায় মোট ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন