রাহুল গান্ধীর জীবনের ১০টি চমকপ্রদ ঘটনা
রাহুল গান্ধীর জন্ম ১৯ জুন ১৯৭০। তিনি হলেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরুর নাতির ছেলে।
তার পরিবারে আরও দুই প্রধানমন্ত্রী হলেন বাবা রাজীব গান্ধী এবং ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধী। সদ্য তিনি হলেন কংগ্রেসের সভাপতি। তিনি আবার যুব সমাজের একজন আইকন। তার জীবনের অজানা চমকপ্রদ ঘটনাগুলি দেখে নেওয়া যাক।
১) পরিবারিক দিক থেকে তিনি হলেন নেহরু-গান্ধী পরিবারের পঞ্চম প্রজন্ম। তার ছোট বোন হলেন প্রিয়াংকা গান্ধী যিনি তার ভাইয়ের জন্য প্রচারে গিয়েছিলেন যদিও তখন তিনি কোনও রাজনৈতিক দলে কোনও পদে ছিলেন না। তার মা সোনিয়া গান্ধী হলেন সদ্য প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি।
২) তিনি দিল্লির সেন্ট কলোম্বাস স্কুল এবং দেহরাদূনের দূন স্কুলে পড়েছেন। নিরাপত্তাজনিত কারণে তার স্কুল জীবনের বেশির ভাগইটাই বাড়ি থেকেই পড়াশোনা চালিয়েছেন।
১৯৮৯ সালে তিনি দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে ভর্তি হন ইতিহাসে বিএ পড়তে কিন্তু পরে হাবার্ডে চলে যান শিক্ষা শেষ করতে। তবে তার বাবা নিহত হওয়ায় তিনি ফিরে আসেন ভারতে এবং রলিনস কলেজে যোগ দেয়। তিনি ত্রিনিটি কলেজ থেকে এমফিল করেন।
৩) গ্রাজুয়েশনের করার পর তিনি কিছুদিন লন্ডনের ম্যানেজমেন্ট কনসাল্টান্টিং ফার্ম মনিটর গ্রুপে কাজ করেন। ভারতে তিনি মুম্বাই ভিত্তি করা প্রযুক্তি আউটসোসিং করা ফার্ম ব্যাকপ সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেডে ডিরেক্টর হিসাবে কাজ করেছিলেন।
৪) এখন তিনি উত্তর প্রদেশের আমেথি কেন্দ্রের সাংসদ, যেটা আগে তার বাবা সংসদ এলাকা ছিল। তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক এবং ভারতীয় যুব কংগ্রেস ও ভারতীয় জাতীয় ছাত্র ইউনিয়নের দায়িত্বে ছিলেন। সভাপতি হওয়ার আগে তিনি কংগ্রসের সহ-সভাপতি হন।
৫) অহেতুক কথা বলা জন্য অনেক সময় সমস্যার সৃষ্টি করেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি একবার মন্তব্য করেছিলেন, মুসলিম জঙ্গিদের চেয়েও হিন্দু জঙ্গিরা ভারতের ভয়ের কারণ। এজন্য তিনি রীতিমতো সমালোচিত হয়েছিলেন। মুম্বাই বিস্ফোরণের পর তিনি মন্তব্য করেন, প্রতিটি জঙ্গি হানা মোকাবিলা করা বাস্তবে সম্ভব নয় তাই একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে এটা দেখতে হবে এবং তা সম্ভব হলে সেটা খুবই সাহায্য করবে।
৬) তিনি তার ব্যক্তিগত জীবনে গোপনীয়তা পছন্দ করেন। তাই তিনি তার ব্যক্তিগত কথা সংবাদ মাধ্যমের আড়ালেই রাখতেন। কিন্তু একবার তিনি সাংবাদিক বৈঠকে তার গার্ল ফেন্ড ভেরোনিক কার্টেলি কথা কবুল করেন, যিনি হলেন একজন স্প্যানিস স্থপতি এবং বাস করেন ভেনেজুয়েলায়।
৭) তিনি মনে করেন লোকপাল বিল অবশ্যই যেন সংসদ এবং নির্বাচন কমিশনকে জবাবদিহি করতে পারে। তবে তিনি মন্তব্য করেছিলেন লোকপাল একা দুর্নীতি দমন করতে পারবে না কারণ তা এতটা গভীতে ঢুকে রয়েছে।
৮) ২০১১ সালের ১১ মে উত্তর প্রদেশে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল যখন তিনি ভাট্টা পারসুল গ্রামের কৃষকদের সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখানে তিন ঘন্টা আটকে রাখার পর ছেড়ে দিয়ে তাকে সোজা দিল্লি চলে যেতে বলা হয়।
৯) তিনি নতুন প্রজন্মের রাজনীতির মুখ এবং বিখ্যাত রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তার নতুন ধ্যান ধারণার জন্য। তিনি বহু সময় প্রশংসিত হতেন তার ব্যস্ত সময়েও সাধারণ মানুষের বাড়িতে পৌছে সময় কাটানোর জন্য। যদিও আবার তার এমন আচরণকে রাজনৈতিক চমক বলেও সমালোচিত হয়েছেন।
১০) তার অফিসটি হল সঙ্গে থাকা ব্ল্যাকবেরি যা সবসময়ই সক্রিয় থাকে, যেটা নব প্রজন্মের রাজনৈতিক পরিমণ্ডল তৈরি করে, যার মাধ্যমে তিনি চেষ্টা করেন নতুন কংগ্রেস এবং জীবনী শক্তি সৃষ্টি করার।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন