রায়ের পর চবি ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আনন্দ মিছিলকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।
এতে শাখা ছাত্রলীগের বগি ভিত্তিক বিজয় ও সিএফসি গ্রুপের ছয় নেতাকর্মীসহ ৭ জন আহত হয়।
বুধবার বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা শুরু হয়। চলে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত।
সংঘর্ষে বিজয় গ্রুপের নেতৃত্ব দেন চবি ছাত্রলীগর সাবেক সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফজলে রাব্বি সুজন এবং সিএফসি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন সাবেক সহ-সভাপতি জামান নূর। এই দুটি পক্ষই আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
আহতরা হলেন— বিজয় গ্রুপের কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের নাসিম চৌধুরী, একই সেশনের অর্থনীতি বিভাগের মো. মোহাইমিনুল, ২০১৩-১৪ সেশনের মার্কেটিং বিভাগের রিদুয়ান ইবনে সাত্তার, ২০১৫-১৬ সেশনের লোক-প্রশাসন বিভাগের সাদ্দাম হোসেন।
অন্যদিকে সিএফসি গ্রুপের কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনের সাদাফ কবির ও ২০১৩-১৪ সেশনের শরীফুল ইসলাম। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ সেশনের লোকপ্রশাসন বিভাগের নাসিম সিয়াম নামের এক শিক্ষার্থীও আহত হন।
বগিভিত্তিক সিএফসি গ্রুপের নেতা ও চবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জামান নূর বলেন, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিনে তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে। আজকের দিনে যারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে এরা (বিজয় গ্রুপ) জামায়াত-শিবিরের এজেন্ডা বাস্তাবায়নকারী।
আমরা চাই যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে টেন্ডার বাণিজ্য করার জন্য নানান সময় বিজয় গ্রুপের নেতারা সংগঠনকে আদর্শকে নষ্ট করে ফেলছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
জানতে চাইলে বগিভিত্তিক গ্রুপ বিজয় গ্রুপের নেতা ও চবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফজলে রাব্বী সুজন বলেন, আজ দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে আমাদের নেত্রীর উপর হামলাকারীদের বিচারের রায় হয়েছে। যারা ছাত্রলীগের আদর্শ ধারণ করে এমন দিনে তারা এই ধরনের নেক্কারজনক ঘটনা ঘটাতে পারে না।
তিনি বলেন, এরা (সিএফসি গ্রুপ) বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ছাত্রলীগকে একটা বিপণন কেন্দ্র বানিয়েছে। এরা আজ ক্যাম্পাসে সবার দীর্ঘশ্বাসে পরিণত হয়েছে। এদের ক্ষমতার উৎস কি? প্রশাসনের কোনো কর্তাব্যক্তি তাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে। আমরা ওদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের কেউ যদি এদের সাথে তোষামদ করে তবে তাদের হুঁশিয়ারি দিচ্ছি আপনারা ঠিক হয়ে যান, না হলে আমরা আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী বলেন, এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জড়িত কাউকেই কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন