রিটকারী নেতাকে নিয়ে আলোচনায় বসছে বিএনপি
ঢাকা উত্তর সিটিতে মেয়র পদে উপ-নির্বাচন স্থগিতের দাবি নিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়া দলীয় নেতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে বিএনপি। আর কেন্দ্রীয় কমিটিতে আলোচনার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রদলের আয়োজনে ‘ছবিঘর’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ফখরুল।
আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় আলোচিত ভোট বন্ধ হয়ে গেছে যে দুইজনের রিট আবেদনে তাদের মধ্যে একজন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা। তিনি রাজধানীর ভাটারা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির কোষাধ্যক্ষও।
আতাউর রাজধানীর ভাটারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। তার এলাকাটি গত জুলাইয়ে ঢাকা উত্তর সিটিতে যুক্ত হয়েছে। আতাউর নিজেও এই এলাকা থেকে কাউন্সিলর পদে ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপির সমর্থন আদায়ের চেষ্টায় ছিলেন। বিএনপি তাকে সমর্থন দেয়ার কথাও জানিয়েছিল।
আতাউরের সঙ্গে উচ্চ আদালতে রিট করেছেন আরেক ইউনিয়ন বেরাইদের চেয়ারম্যান। তিনি আবার আওয়ামী লীগ নেতা। বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি।
হাইকোর্ট ভোট তিন মাস স্থগিত করার পর থেকেই বিএনপি এর পেছনে সরকারের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে। ভোট ‘ভণ্ডুলে’র জন্য আজও ফখরুল দায়ী করেছেন সরকারি দলকেই।
বিএনপির নেতা যে রিট করেছেন তার বিষয়ে আপনারা কী সিদ্ধান্ত নেবেন-এমন প্রশ্নে ফখরুল বলেন, ‘এই ব্যাপারে আমরা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে আলাপ-আলোচনা করে আমরা পরে জানাব।’
এর আগে ফখরুল ভোট স্থগিতের জন্য নির্বাচন কমিশন এবং আইন মন্ত্রণালয়ের যোগসাজস থাকার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘নিশ্চিত পরাজয় জেনে সরকার যোগসাজোস করে ডিএনসিসি (ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন) নির্বাচন স্থগিত করেছে।’
ফখরুল বলেন, ‘এটা নির্বাচন কমিশনের সম্পূর্ণ ব্যর্থতা। নতুন ইউনিয়নগুলোকে সিটিতে আনা হয়েছে তার সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি, ভোটার তালিকা নিশ্চিত করা হয়নি। এতেই প্রমাণিত হয়, নির্বাচন কমিশন যোগ্য নয়।’
এর আগে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বিএনপি মহাসচিব জিয়াউর রহমানের ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। জিয়াউর রহমানের শাসনামল ও মুক্তিযুদ্ধকালীন ৭১টি ছবি টাঙানো হয় সেখানে।
সেনা প্রধান থাকা অবস্থায় জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল নিয়ে সমালোচনা আছে আওয়ামী লীগের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ভোট ছাড়া ক্ষমতায় এসে যারা দল করে তাদের কাছ থেকে গণতন্ত্রের শিক্ষা তিনি নেবেন না।’
তবে ফখরুল বলেন, ‘জিয়াউর রহমান অবরুদ্ধ বাংলাদেশকে মুক্ত করেছিলেন, অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে মুক্ত করেছিলেন। বাংলাদেশের মানুষকে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছিলেন।’
জিয়াউর রহমানকে ‘মহান’, ‘কিংবদন্তী নেতা’ ও ‘ক্ষণজন্মা পুরুষ’ আখ্যা দিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আজকের এই দিনে আমরা তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। তার যে দর্শন, তার যে আদর্শ, সেগুলো অনুসরণ করে, ধারণ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা শপথ গ্রহণ করছি।’
এই প্রদর্শনীর আয়োজন করায় ছাত্রদলের প্রশংসা করেন ফখরুল। বলেন, ‘তাদের (ছাত্রদল) প্রতি আমরা আহ্বান, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যে আদর্শ, তার যে দর্শন, সেটি ছড়িয়ে দিতে হবে নতুন প্রজন্মের মধ্যে।’
‘জিয়াউর রহমানের কালজয়ী দর্শনে তাদেরকে দীক্ষিত করে একটা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কাজে এগিয়ে যেতে হবে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন