রোকেয়া হলে ব্যালট উদ্ধারের অভিযোগ ভিত্তিহীন, দাবি প্রভোস্টের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটের দিন রোকেয়া হল থেকে ট্রাঙ্কভর্তি ব্যালট উদ্ধারের দাবি করা হলেও হলটির প্রভোস্ট (প্রাধ্যক্ষ) ড. জিনাত হুদা তা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সেদিনকার ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিস কনসেপশন (ভুল ধারণা)। আমরা সেদিন গণমাধ্যমকর্মী ও প্রার্থীদের ব্যালট বাক্স দেখিয়েই নির্বাচন শুরু করেছিলাম। তাই এটা নিয়ে অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে রোকেয়া হল সংসদ নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ব্যালটভর্তি বলে আলোচিত ট্রাঙ্ক তিনটিও সেখানে হাজির করেন তিনি।
দীর্ঘ ২৮ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত সোমবার। নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি মেয়েদের হলে ভোট কারচুপির বিষয়ে অভিযোগ করে আসছেন ছাত্রলীগের প্যানেল ছাড়া অন্যসব প্যানেলের প্রার্থীরা। তার মধ্যে রোকেয়া হলও আছে।
হলটিতে পুনর্নির্বাচন ও প্রভোস্টের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে বুধবার রাত থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন রোকেয়া হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী। অনশনে বসা চারজন ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন পদের প্রার্থী ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ১১ মার্চ নির্বাচনের দিন রোকেয়া হলে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা দেন হাউজ টিউটর দিল আরা জাহান। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন প্রভোস্ট ড. জিনাত হুদা।
তিনটি ব্যালট পেপারের বাক্স ভোটকেন্দ্রের বাইরে পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যালট পেপারের বাক্সগুলো ভোটকেন্দ্রের বাইরে ছিলো না। বাক্সগুলো যেখানে পাওয়া গিয়েছিল (অডিটোরিয়ামে), সেটাও ভোটকেন্দ্রের অংশ। ভেতরের ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমরা সেগুলো ব্যবহারের জন্য সেখানে রেখেছিলাম।’
ভোটগ্রহণ চলাকালে রোকেয়া হলের প্রভোস্ট ড. জিনাত হুদাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে সোমবার রাতেই শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা মারজুকা রায়না মামলাটি করেন।
শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘কোনো শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়নি। আমি প্রভোস্ট হিসেবে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা করিনি। আমি মামলার কথা জেনেছি গণমাধ্যম থেকে।’
রোকেয়া হলের প্রভোস্ট বলেন, ‘কোনো শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়নি। আমি অনশনকারীদের জানিয়েছি যে, বাতিল করে নতুন নির্বাচন দেওয়ার এখতিয়ার কোনো প্রাধ্যক্ষের নেই।’
আমরণ অনশনে বসা রোকেয়া হলের পাঁচ ছাত্রীকে হেনস্তার বিষয়ে জিনাত হুদা বলেন, ‘তারা হলের গেটের বাইরে গিয়ে অবস্থান করছেন। সেখানে হেনস্তার ঘটনা আমাদের কনসার্ন না। আমাদের কনসার্ন তাদের গেটের বাইরে থেকে হলের ভেতরে নিয়ে আসা।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন