রোজায় ইসুবগুলের ভুসির ৫ উপকার
রমজান আসলে বুঝিয়ে দেয় ইসুবগুলের ভুসি শরীরের জন্য কতটা উপকারী। ইফতারে যেকোনো শরবতের সঙ্গে ইসুবগুলের ভুসি ব্যবহার করা হয় কিংবা শুধু ইসুবগুলের ভুসির তৈরি শরবত খাওয়া যায়। সারাদিন রোজা থাকার পর পানিশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে এই ভুসি। তাই ইফতারে নিয়মিত ইসুবগুলের ভুসি রাখা আবশ্যক।
জেনে নেয়া যাক এই ভুসি যেসব উপকার করে-
১) হজম করতে সহায্য করে : ইসবগুলের ভুষি হজম প্রক্রিয়াকে সঠিক অবস্থায় রাখতে সাহায্য করে। ইফতারে ভাজা-পোড়াসহ বিভিন্ন আইটেমের খাবার খাওয়া হয়। এই সময় হজমের সমস্যা দেখা দেয়। তাই ইফতারে এই ভুসি খেলে হজমের কাজ করে। এটি শুধু পাকস্থলী পরিষ্কার রাখতেই সাহায্য করে না এটি পাকস্থলীর ভেতরের খাবারের চলাচলে এবং পাকস্থলীর বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনেও সাহায্য করে। তাই হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে রোজায় নিয়মিতভাবে ইসবগুল খেতে পারেন।
২) অ্যাসিডিটি প্রতিরোধ করে : রোজায় বেশিরভাগ মানুষের অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে। আর এ অবস্থায় ইসবগুলের ভুষি হতে পারে ঘরোয়া প্রতিকার। ইসবগুল খেলে তা পাকস্থলীর ভেতরের দেয়ালে একটা প্রতিরক্ষা মূলক স্তর তৈরি করে যা অ্যাসিডিটির বার্ন থেকে পাকস্থলীকে রক্ষা করে। এছাড়া এটি সঠিক হজমের জন্য এবং পাকস্থলীর বিভিন্ন এসিড নিঃসরণে সাহায্য করে।
৩) হৃদস্বাস্থ্যের সুস্থতায় : ইসবগুলের ভুষিতে থাকা খাদ্যআঁশ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে যা আমাদেরকে হৃদরোগের থেকে সুরক্ষিত করে। হৃদরোগের সুস্থতায় ইসবগুল সাহায্য করে কারণ এটি উচ্চ আঁশ সমৃদ্ধ এবং কম ক্যালরিযুক্ত। ডাক্তাররা সব সময় হৃদরোগ প্রতিরোধে এমন খাবারের কথাই বলে থাকেন। এটি পাকস্থলীর দেয়ালে একটা পাতলা স্তরের সৃষ্টি করে যার ফলে তা খাদ্য হতে কোলেস্টেরল শোষণে বাঁধা দেয় বিশেষ করে রক্তের সিরাম কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
৪) ওজন কমাতে : মানুষ ভাবে রোজা থাকলে শরীর শুকিয়ে ওজন কমে যায়, তা কিন্তু নয়। রোজার সময় ইফতারে যা যা খাওয়া হয় তাতে দ্রুত ওজন বেড়ে যায়। তাই এ সময় ওজন কমানোর উদ্দেশ্যকে সফল করতে ইসবগুলের ভুষি হচ্ছে উত্তম হাতিয়ার। এটি খেলে বেশ লম্বা সময় পেট ভরা থাকার অনুভূতি দেয় এবং ফ্যাটি খাবার খাওয়ার ইচ্ছাকে কমায়। এছাড়াও ইসবগুলের ভুষি কোলন পরিষ্কারক হিসেবেও পরিচিত।
৫) ডায়াবেটিস প্রতিরোধে : যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের ইফতারের সময় ইসবগুলের ভুষি খুবই ভালো উপকার দিবে। এটি পাকস্থলীতে যখন জেলির মত একটি পদার্থে রূপ নেয় তখন তা গ্লুকোজের ভাঙন ও শোষণের গতিকে ধীর করে। যার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। খাবার পর নিয়মিতভাবে দুধ বা পানির সঙ্গে ইসবগুলের ভুষি মিশিয়ে পান করুন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন