রোনালদোকে নিয়ে নিন্দুকদের ‘ভুল’ ভাঙলেন মড্রিচ
উয়েফার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটা পাচ্ছেন না। এই খবরটা আগেই পেয়েছিলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। ফলে রাগে-দুঃখে-ক্ষোভে জুভেন্টাসের পর্তুগিজ তারকা মোনাকোর পুরস্কার অনুষ্ঠানেই যাননি। তার এই অনুষ্ঠানে না যাওয়া নিয়ে নিন্দুকেরা অনেক কথাই বলেছেন। এমন অভিযোগও করেছে, অনুষ্ঠানে না গিয়ে রোনালদো আসলে বিজয়ী লুকা মড্রিচ ও তার অর্জনকে খাটো করেছেন। বন্ধুত্বকে অসম্মান করেছেন। তাদের কথা, স্রেফ বন্ধুত্বের কারণে হলেও বিজয়ী মড্রিচকে শুভেচ্ছা জানানো উচিত ছিল রোনালদোর।
একটু দেরিতে হলেও নিন্দুকদের সেই ভুলটা ভেঙে দিলেন স্বয়ং লুকা মড্রিচ। রিয়াল মাদ্রিদের ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার নিজেই বললেন, তিনি পুরস্কার জেতায় রোনালদো অখুশী নন। বরং রোনালদো ঠিকই তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পাঠিয়েছেন অভিনন্দন বার্তা।
পুরস্কারটা না পাওয়ায় রোনালদো যে খুবই হতাশ ছিলেন, সেটা জুভেন্টাসের কোচ মাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রিই নিশ্চিত করেন। অ্যালেগ্রি স্পষ্ট কণ্ঠেই জানিয়ে দেন, রোনালদো খুবই রেগেছিলেন। তাই গত মাসে মোনাকোতে অনুষ্ঠিত উয়েফার পুরস্কার অনুষ্ঠানে যাননি। এই না যাওয়াকে কেন্দ্র করে নেতিবাচক কথার নানা গল্পই ফাঁদেন নিন্দুকেরা।
রিয়ালে দীর্ঘ সময় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেলেছেন রোনালদো-মড্রিচ। ছিলেন অন্তরঙ্গ বন্ধু। ফলে বন্ধু রোনালদোর কাছ থেকে মড্রিচের একটা অভিনন্দন পাওনাই ছিল। কিন্তু নিন্দুকেরা ধরেই নেয় যে, রোনালদো যেহেতু নিজে পুরস্কার না পাওয়ায় রেগে ছিলেন এবং পুরস্কার অনুষ্ঠানে যাননি, তাই হয়তো তিনি মড্রিচকে অভিনন্দনও জানাননি।
কিন্তু এতোদিন পর নিন্দুকদের এই সন্দেহটাকে ভুল প্রমাণ করলেন মড্রিচ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল মড্রিচের ক্রোয়েশিয়া ও রোনালদোর পর্তুগাল। তবে ১-১ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচটাতে খেলেননি রোনালদো। বিশ্রামের কারণে তিনি দলেই ছিলেন না। যাই হোক, এই ম্যাচ শেষেই মড্রিচ বললেন, ‘তার সঙ্গে আমার সম্পর্কটা খুবই ভালো। উয়েফার পুরস্কার জেতার পর সে আমাকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছে। অভিনন্দন বার্তায় সে আশা প্রকাশ করেছে, দ্রুতই আমাদের আবার দেখা হবে। ক্রিস্তিয়ানোর সঙ্গে আমি খুবই ভালো আছি। ভবিষ্যতেও আমাদের সম্পর্কটা একই রকম থাকবে। কোনো কিছুই বদলাবে না। ব্যক্তিগত পুরস্কার অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে বন্ধুত্বের সম্পর্কটা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
মেসি-রোনালদোর রাজত্বে হানা দিয়ে ক্যারিয়ারে প্রথম বারের মতো উয়েফার বর্ষসেরা পুরস্কার জিতেছেন। মড্রিচের সামনে প্রথম বারের মতো ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কার পাওয়ারও হাতছানি। ফিফা পুরস্কারের জন্য ঘোষিত তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় রোনালদো ও মোহামেদ সালাহ’র সঙ্গে তিনিও আছেন। ফুটবলবোদ্ধাদের ধারণা, বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় এবং উয়েফা পুরস্কারজয়ী মড্রিচের হাতেই উঠবে ‘দ্য বেস্ট ফিফা মেনস অ্যাওয়ার্ড’।
৩২ বছর বয়সী মড্রিচও আশাবাদী, ‘তালিকায় নাম থাকায় (ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কারের তালিকায়) আমি খুব খুশি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জাতীয় দলেল অধিনায়ক ও কোচরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন