রোহিঙ্গা ইস্যু : মিয়ানমারের প্রতারণার শেষ কোথায়?
বাংলাদেশ থেকে ৫৮ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় রাখাইনে ফিরে গেছেন মিয়ানমারের এমন দাবিকে মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করেছে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা। তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক চাপ থেকে রক্ষা পেতে প্রত্যাবাসন নিয়ে বারবার অপ-কৌশল নিচ্ছে দেশটি। বিষয়টিকে মিয়ানমারের অভিনব প্রতারণা বলে মনে করছে সরকার।
গত বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এরপর থেকে রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের কথা শুনতে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ছুটে আসেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ ও নানা মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধিরা। এরপর থেকেই রোহিঙ্গাদের নিজের দেশে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে মিয়ানমার।
আন্তর্জাতিক এসব চাপ এড়াতে বিভিন্ন সময় নানা অপকৌশল অবলম্বন করছে মিয়ানমার। গত ২৭শে মে স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচির অফিস থেকে এক বিবৃতি বলা হয়েছে, রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে গত বছর সহিংসতার সময় পালিয়ে বাংলাদেশে চলে যাওয়া ৫৮ জন মুসলিম তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ফিরেছেন মিয়ানমারে। আর এটাকে সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও মিয়ানমারের নতুন ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের।
প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার পাশাপাশি রোহিঙ্গারা যাতে নিজ দেশে ফেরত যেতে না পারে সেজন্যই মিয়ানমার নানা অপকৌশল অবলম্বন করছে বলে জানালেন কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আয়াছুর রহমান।
অন্যদিকে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের মতে, মিয়ানমার মিথ্যাচার করে আবারো বিশ্ববাসীকে ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করছে।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে তমব্রু জিরো পয়েন্টে সাড়ে ৪ হাজার ও কক্সবাজারে উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছে ১১ লাখ রোহিঙ্গা। আর প্রত্যাবাসন চুক্তির ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত কোন রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেয়নি মিয়ানমার।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন