রোহিঙ্গা রক্ষায় ভূমধ্যসাগর থেকে আসছে উদ্ধারকারী জাহাজ

মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উদ্ধারকাজে এগিয়ে আসছে ভূমধ্যসাগরে শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা একটি উদ্ধারকারী দল। এতদিন পর্যন্ত তারা মূলত লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে পাড়ি জমানো অভিবাসীদের বাঁচানোর কাজ করে এসেছে।

‘মাইগ্র্যান্ট অফশোর এইড স্টেশন (এমওএএস)’ নামের সংগঠনটি ২০১৪ থেকে ভূমধ্যসাগর অঞ্চলে অভিবাসীদের উদ্ধারের কাজ করছে। দ্য ফিনিক্স নামের উদ্ধারকারী জাহাজের সাহায্যে এ পর্যন্ত সংস্থাটি কমপক্ষে ৪০ হাজার অভিবাসীকে সাগর থেকে উদ্ধার করেছে বলে বিবিসি জানায়।

এমওএএস মাল্টা থেকে তাদের উদ্ধারকারী জাহাজ দ্য ফিনিক্সকে রোহিঙ্গাদের রক্ষার লক্ষ্যে বঙ্গোপসাগরে পাঠাচ্ছে।

গত এক সপ্তাহে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টায় নাফ নদীতে নৌকা ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৫৭ রোহিঙ্গার। এমন পরিসংখ্যানই এমওএএস’কে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে উদ্বুদ্ধ করেছে বলে জানায় সংস্থাটি। তারা আরও জানিয়েছে, উদ্ধারকারী জাহাজটির মিয়ানমারের কাছে পৌঁছাতে প্রায় তিন সপ্তাহের মতো সময় লাগবে।

মিয়ানমার পৌঁছে এমওএএস রোহিঙ্গাদের যতটা সম্ভব মানবিক সহায়তা ও প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ করতে চায়। একই সঙ্গে তাদের জন্য অঞ্চলটিতে স্বচ্ছতা, সমর্থন ও জবাবদিহিতার একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরিতেও ভূমিকা রাখতে চায় এমওএএস।রোহিঙ্গা-মিয়ানমার-ভূমধ্যসাগর-উদ্ধারকারী জাহাজ

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনের ত্রিশটি পুলিশ ও সেনাচৌকিতে কথিত রোহিঙ্গা জঙ্গিদের হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর ১২ সদস্য নিহত হয়। তারপরই জবাব হিসেবে ব্যাপকভাবে ওই অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে হামলা চালায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

সেনাবাহিনীর ওই হামলায় এখনও পর্যন্ত ৪শ’র বেশি মারা গেছে, আর প্রাণভয়ে লাখো মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে বাংলাদেশে। আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সহিংসতা ও সংঘর্ষের পর থেকে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা সেখান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে বেশকিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও সংবাদ সংস্থা।