র্অথবছরে কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ৬৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ
আসছে র্অথবছরে কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ৬৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। হাওর অঞ্চলে কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ডাউন পেমেন্ট কমানোর বিষয়েও পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
শুক্রবার (২৮ মে) রাজধানীর ইআরএফ মিলনায়তনে জাতীয় বাজেট ২০২১-২২ সামনে রেখে ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও প্রাতিষ্ঠানিক র্অথায়ন’ র্শীষক সংলাপে এসব কথা জানান কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল।
জাতীয় বাজেট ২০২১-২২ সামনে রেখে কৃষি খাতের গুরুত্ব, সমস্যা ও সম্ভাবনা তুলে ধরতে বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল টির্চাস সোসাইটি এ সংলাপের অয়োজন করে।
সেখানে হাসানুজ্জামান কল্লোল জানান, গত র্অথবছরে কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ২২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল । যার পুরোটাই কৃষি মন্ত্রণালয় খরচ করেছে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণে গুরুত্ব দিয়ে।
তিনি বলেন, কৃষকের সুবির্ধাথে আধুনিক এক মেশিন ১০০ জন কৃষকের কাজ করে। বিশেষ করে হাওর অঞ্চলে দিন-রাত কাজ করতে বড় মেশিনগুলো দরকার হয়। কৃষক বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে কিস্তিতে এসব যন্ত্রপাতি ক্রয়ের সুবিধা পাচ্ছে বলে জানান তিনি।
সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন র্অথনীতিবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শরমিন্দ নির্লোমী। তিনি বলেন, আজকে যে যান্ত্রিকীকরণ হয়েছে সেটা একটি বির্বতনের মধ্যেমে এসেছে। একজন কৃষক শুধু কৃষকই নয়। তিনি কখনো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কখনো উদ্যোক্তা কিংবা কখনো চাকরিজীবী।
গত ১৫ বছরে কৃষিতে নারীদের অংশগ্রহণ ১১৮ শতাংশ বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষি কার্যক্রম হচ্ছে একটি সম্মিলিত প্রয়াস। এখানে কৃষিবিদের যেমন অবদান রাখতে হবে তেমন শিক্ষকদের, উদ্ভাবকদের এবং কৃষকদের অবদান রাখতে হবে।
আইসিএবি ও আইসিএমএবি’র সদস্য মো. আমির হোসেন বলেন, কৃষি যন্ত্র কিনতে বর্তমানে হাওর অঞ্চলে সরকার ৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। তারপরও বাকি অর্থের যোগান দেয়া অনেকক্ষেত্রেই কৃষকের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। কৃষি যন্ত্র কেনায় কৃষকদের সক্ষমতা বাড়াতে ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসার কথা বলেন তিনি। এক্ষেত্রে কৃষক এবং কৃষি যন্ত্র নিবন্ধনের পরার্মশ দিয়ে তিনি বলেন, তাহলে যন্ত্র বন্ধক রেখে কৃষকরা সহজেই ঋণ নিতে পারবেন।
কৃষি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মো. সদরুল আমিন বলেন, প্রযুক্তির্নিভর কৃষি ববস্থা গড়ে তুলতে এর চেয়ে ভালো সুযোগ আর আসবে না। দেশে বেকারত্ব কমাতে এইচএসসি পাসের পর তরুণদের কৃষি শিক্ষা গ্রহণ করে কৃষিতে যোগ দেয়ার পরার্মশ দেন তিনি। তার মতে, এতে প্রতি বছর এক থেকে দুই লাখ মানুষের র্কমসংস্থান হবে।
সেক্ষেত্রে নিজেদের সফলতার পাশাপাশি কৃষি ক্ষেত্রেও বিল্পব আসবে বলে জানান তিনি। সংলাপে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল টির্চাস সোসাইটির মহাসচিব ড. মোজাহেদুল ইসলাম।
কৃষিবিদ রেজাউল করিম সিদ্দিকের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও বক্তব্য দেন সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক উপ-পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, প্রাইম ব্যাংকের অ্যাসিস্টেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (কৃষি সহায়তা বিভাগ) আসাদ বিন রশিদ প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন