লকডাউনে মধ্যবিত্ত ও শ্রমজীবী মানুষের চরম দুর্দিন চলছে!

দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতির কারণে চলমান লকডাউন আরো বাড়ানোয় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। অন্য দিকে লকডাউনে রুজি-রোজগার বন্ধ।

জীবন-জীবিকা নিয়ে তাই চিন্তায় পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। কখনও লক ডাউন আবার কখনও শাট ডাউন। তবে লক ডাউন বা শাট ডাউনে নিম্ন আয়ের মানুষের দায়িত্ব কে নিবে? যাদের একদিন কাজ না করলে ঘরে চাউল আসেনা ছেলে মেয়ে খেতে পারে না।

তাদের পাশে কে আছে? তারা কি ভাবে বেচে আছে? কিভাবে বেচে আছে যানেন’ কখনও পুলিশেরে চোখ ফাঁকি দিয়ে আবার কখনও পুলিশের লাঠির বারি খেয়ে কাজের জন্য লক ডাউন অমান্য করে ঘর থেকে বাহির হচ্ছেন। ঠিক এভাবেই চলতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষদের। তারা বলছেন, নিম্ন আয়ের মানুষ করোনাকে ভয় পায় না, ভয় পায় লকডাউনকে। চলতি লকডাউনের কারণে এমনিতেই বেশ কিছু দিন মানবেতর দিন পার করছেন তারা। কর্মহীন অবস্থায়ও প্রতিদিন যেভাবে তাদের ব্যয় বেড়ে চলেছে; তাতে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবে তা ভেবে চোখে অন্ধকার দেখছে তারা। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, সেদিকেই তাকিয়ে আছে মানুষ।

এদিকে শহরাঞ্চলের সীমিত ও নিম্ন আয়ের মানুষের বড় দুশ্চিন্তার বিষয় হলো বাসাভাড়া। এছাড়া পাঁচটি মৌলিক চাহিদার চারটি নিয়েও চিন্তিত তারা। এ অবস্থায় জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। মোট কথা, এখন মধ্যবিত্ত ও শ্রমজীবী মানুষের চরম দুর্দিন চলছে। লকডাউনের কারণে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও খাবার ও বাসাভাড়া নিয়ে দুশ্চিস্তায় পড়েছেন তারা। করোনার এক বছরে দেশে বিপুলসংখ্যক মানুষের জীবনমান নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে  নেমে  গেছে। করোনার কারণে গত বছরের মার্চ থেকেই দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড স্থবির হয়ে পড়ে।

গত সেপ্টেম্বর  থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও পুরো গতি পাওয়ার আগেই হানা দেয় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। গত বছর ব্যবসা-বাণিজ্যের যে ক্ষতি হয়েছে, তা এখনো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে দ্বিতীয় ঢেউয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। করোনা বিশ্ব অর্থনীতিকেই লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। এ অবস্থায় আমদানি-রপ্তানি পরিস্থিতি কী করে স্বাভাবিক করে তোলা যায়, তা নিয়ে সবাই ভাবছে। সীমিত আয়ের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। অর্থনীতির গতি ফেরাতে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির জন্য নিতে হবে বিশেষ পদক্ষেপ। এছাড়া সংশ্লিষ্ট সবাইকে হতে হবে দায়িত্বশীল ও সহমর্মী।