লাগামহীন লোভই রানা প্লাজার দুর্ঘটনার কারণ : কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন
লাগামহীন লোভই রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পেছনে কাজ করেছে বলে মন্তব্য করে জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের আহ্বায়ক এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা ও সমন্বয়ক কৃষক মো. মহসিন ভুইয়া বলেন, নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণ করা হলে একসঙ্গে এত শ্রমিকের প্রাণ যেত না। ভবিষ্যতে শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই সরকারকে শিল্প-কারখানা গড়ে তুলতে হবে।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির অষ্টম বর্ষ পূর্তি স্মরণে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা এ সব কথা বলেন।
তারা বলেন, লোভের বলি হয়ে মানুষগুলো রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় চলে গেছেন না-ফেরার দেশে। যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁদের অনেকে অঙ্গ হারিয়ে কর্মহীন হয়ে দুঃসহ জীবন যাপন করছেন। এতিম হয়ে পড়েছে অনেক শিশু। এই এতিম সন্তানদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। যাঁরা চিকিৎসার অভাবে এখনো কষ্ট পাচ্ছেন, তাঁদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
ধসে পড়া ভবনের জায়গায় শ্রমিকদের পুনর্বাসনে ব্যবহারের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে নেতৃত্রয় বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর ৮বছর পার হয়ে গেছে। জমিটি সরকারের অনুকূলে নেওয়া হলেও দীর্ঘদিন সেটি খালি পড়ে আছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই।
তারা আরো বলেন, দুর্ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা না হলে নিহত ব্যক্তিদের আত্মা শান্তি পাবে না। রানাসহ সব দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, আজকের এই দিনটি জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা, রানা প্লাজার জায়গাটুকু ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করা এবং শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা উচিত। সবাই বলে যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত অর্থে শ্রমিকদের কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। যা দেওয়া হয়েছে তা হচ্ছে অনুদান। তাই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন