লালমনিরহাটকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত জেলা ঘোষণা

আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর অধীনে পঞ্চম পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে লালমনিরহাটে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা করার লক্ষ্যে মোট ৫ হাজার ৮৫৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতক জমিসহ সেমি পাকা ঘর দেওয়া হয়েছে।

ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হয়েছে দেশের আরও ৭০টি উপজেলা। এর মধ্য দিয়ে সারা দেশে ৫টি পর্যায়ে এবং ১০টি ধাপে ৫৮টি জেলার সর্বমোট ৪৬৪টি উপজেলার শতভাগ ভূমিহীন-গৃহহীনদের পুনর্বাসন সম্পন্ন হয়েছে। সারাদেশে পঞ্চম পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ১৮ হাজার ৫৬৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১১ জুন) বেলা ১১টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ঈদের উপহার হিসেবে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার মুহিষামুড়ি এলাকায় সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পেরে দরিদ্র এসব মানুষ বেশ খুশি হয়েছেন। অনেকে এসময় প্রধানমন্ত্রীকে মা হিসেবে সম্বোধন করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং মঙ্গল কামনায় করেছেন প্রাণভরে দোয়া।

মহিষামুড়ি আশ্রয়ণ ঘরের পাশাপাশি তাদের জীবনমান উন্নয়ন অনেককেই সেলাই মেশিন প্রশিক্ষণ, গরু মোটাতাজাকরণ ও মৎস্য চাষেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কৃষিবিভাগ থেকে কোনো কোনো পরিবারের জন্য করা হয়েছে পুষ্টিবাগান। বিদ্যুৎ বিভাগ সুবিধাভোগী পরিবারগুলোর মাঝে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন। এছাড়াও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তর থেকে প্রতি ১০ পরিবারের জন্য একটি করে নলকূপ স্থাপন করেছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, লালমনিরহাট স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদ ও মতিয়ার রহমান এমপি, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন, পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল, সাবেক সংসদ সদস্য সফুরা বেগম রুমি, লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাকিবুজ্জামান আহমেদ, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার জহির ইমাম প্রমুখ।