লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে শিক্ষকের গাফিলতিতে আলিম পরীক্ষা দিতে পারছে না ‘রাশিদা’
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে আলিম পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে অফিস সহকারি রফিকুল ইসলাম মঞ্জুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন রাশিদা বেগম নামে এক শিক্ষার্থী।
রোববার (২০ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিত অভিযোগ করেছে এই শিক্ষার্থী। রাশিদা বেগম কাশীরাম মাদ্রাসার ছাত্রী।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, গত ১৫ জুলাই আলিম পরীক্ষার ফরম ফিলাপ করতে অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম মঞ্জুর কাছে দুই হাজার টাকা দেন রাশিদা বেগম। পরে ফরম পূরণ করার পরও রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র পাইনি রাশিদা। ওই মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র পেলেও রাশিদাকে প্রবেশ পত্র দেয়নি। ১৭ আগস্ট পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র নিতে গেলে জানতে পারে তার ফরম ফিলাপ করা হয়নি।
রাশিদার মা আমেনা বেগম জানান, মেয়ের ফরম ফিলাপ হয়নি কেন জানতে মাদ্রাসায় যাই। অফিস সহকারী মঞ্জুকে ফরম ফিলাপের বিষয়টি জিজ্ঞেসা করলে তিনি বলেন সার্ভার ছিল না। আমি তখন বলি যে , মাদ্রাসার বাকি সব শিক্ষার্থীর সময় সার্ভার ছিল না? তখন মাদ্রাসার অফিস সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম মঞ্জু আমাকে উগ্র মেজাজে গালিগালাজ করে। বিষয়টি তখন আমার কাছে পরিষ্কার হয় যে, আমাদের পারিবারিক শত্রুতার জের এমন হয়েছে বিষয়টি আমি বুঝতে পারি। দীর্ঘদিন ধরে জমি জায়গা নিয়ে মাদ্রাসার অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম মঞ্জুর সাথে আমাদের মামলা চলছে। ওই পূর্বজের ধরে আমার মেয়ের জীবনের উন্নতি যেনো না হয় সেজন্য এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমার মেয়ের জীবন থেকে একটি বছর এবং টাকা আত্মসাৎ করে। টাকা জমা দেওয়ার পরেও আমার মেয়ে আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারল না।
মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে আমার মেয়ে। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও অফিস সহকারীর
অবহেলার কারণে আমার মেয়ে পরীক্ষা দিতে পারেনি। ওই অফিস সহকারীর পদত্যাগ এবং তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
কাশীরাম মাদ্রাসার অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আমাকে বলেছিল ২৬ তারিখ ফরম ফিলাপের শেষ দিন। কিন্তু সন্ধ্যাবেলায় আমি ফরম ফিলাপ করতে গিয়ে দেখি ২৫ তারিখ সময় শেষ হয়ে গেছে। সে কারণে তার ফরম ফিলাপটি মিসটেক হয়। তবে কথা উঠে পারিবারিক শত্রুতা জের নিয়ে কথা উঠলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন যে তার সাথে আমার জমি জায়গা নিয়ে মামলা চলমান।
এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান রতন বলেন, ফরম ফিলাপের টাকা দিয়েছে আমি জানি। তবে কি কারনে তার ফরম ফিলাপ হলো না। এ জন্য অফিস সহকারী মঞ্জুকে নোটিশ করেছি। তার জবাব দিতে না পারলে আমরা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহির ইমাম জানান, বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন