লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি আহত

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে অটোভ্যান চালক আলতাব হোসেন (৫৫) নামের এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে (সাড়ে চারটার দিকে) ওই ইউনিয়নের শিংগীমারী সীমান্তে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত আলতাব হোসেন সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের শিংগীমারী গ্রামের পকেট এলাকার বাসিন্দা মৃত বাচ্চা শেখের ছেলে।

আহত আলতাব হোসেন বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে।

সীমান্তের বাসিন্দা সূত্র জানায়, আজ শুক্রবার বিকেলের দিকে উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের পকেট গ্রাম সীমান্তের ৮৯৩ নম্বর মেইন পিলারের ৮ ও ৯ নম্বর সাব পিলারের নিকট একটি খেতে বাংলাদেশি নাগরিক আলতাব হোসেন কাজ করছিলেন।

এ সময় ভারতের কোচবিহার বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নগর সিঙ্গিমারী বিএসএফ ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা ভারতের কাটাতাঁরের বেড়া পেড়িয়ে কয়েকজন বাংলাদেশি চোরাকারবারীকে ধাওয়া করে শুন্যরেখা বরাবর আসে।

এ সময় চোরাকাবারী দলে সদস্যরা পালিয়ে যায়। পরে বিএসএফ ও চোরাকাবারীদের চিৎকার ও হই চৈই শুনে আলতাব হোসেনও সীমান্তে যায় এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে বিএসএফ দলের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে সরে যায়। এতে আলতাব হোসেনের (বুকে) গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

পরে স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ আলতাবকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিজিবির সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন বলেস্থানীয় লোকজন জানান। তারা স্থানীয় কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, বাংলাদেশে সীমান্তের কাছাকাছি ভারতীয় বিএসএফ আসায়।

আলতাব ভারতীয় বিএসএফকে চলে যাওয়া কথা বলেন। এতে আলতাবকে গুলি করে বিএসএফ চলে যায়। উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের ওর্য়াড সদস্য সামসুল হক জানান, তিনি সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের গুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন আলতাব হোসেনকে বিএসএফ গুলি করেছেন। তার বুকে গুলি লেগেছে। চিকিৎসার জন্য রংপুরে নিয়ে গেছে। আলতাব হোসেন কোন চোরাকারবারী ব্যক্তি নন। তিনি ভালোমানুষ ছিলেন।

উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আলতাব হোসেনে আহতের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। সেখানে বিজিবির সিও আসছেন। ভারতীয় বিএসএফের সাথে পতাকা বৈঠকও হতে পারে। পরে বিস্তারীত জানাবো।

এ বিষয়ে জানতে বিজিবি-৬১ তিস্তা -২ ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ধরেনি।