লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাতের প্রতিবাদে মানববন্ধন

কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত এবং মুক্তিযোদ্ধাদের হেয়প্রতিপন্ন সহ জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে হাতীবান্ধা উপজেলায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ করেছেন সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।

বুধবার (১৭ জুলাই) বেলা ১১টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আয়োজনে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের সামনে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম এর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।

মানববন্ধন কর্মসূচি ও স্মারকলিপিতে অবিলম্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অবমাননাকারী এবং আত্মস্বীকৃত রাজাকারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম।

এসময় মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা ‘একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে ওঠুক আরেকবার’, ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালী বাঙালী’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, রাজাকারের ঠাঁই নাই’, ‘একাত্তরের রাজাকার এই মুহুর্তে বাংলা ছাড়’ প্রভৃতি শ্লোগান দিতে থাকেন।

হাতীবান্ধা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি রোকনুজ্জামান সোহেলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু, লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুমা ইয়াছমিন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডিপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর জব্বার।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম বসুনিয়া। এতে আরও বক্তব্য রাখেন, পাটগ্রাম মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি শাফিউল ইসলাম প্রধান, হাতীবান্ধা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান পল্লব, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাফিউল ইসলাম সম্পদ প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননার’ অভিযোগ তুলে বলেন, কোটা পদ্ধতি কোনোভাবেই বাতিল নয়, বরং আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে অপদস্ত করছে। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীদের ইন্ধনে তারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা করছে। তাই তারা অবিলম্বে দেশে নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি কারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান সরকারের কাছে।