লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় প্রধান শিক্ষকদের নিরাপত্তা দাবী, তদন্তে ২ সদস্যের কমিটি গঠন

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ৩৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ ইউএনও বরাবর নিরাপত্তা চেয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৭ আগষ্ট) সকালে হাতীবান্ধা ইউএনও আতিকুল ইসলামের দপ্তরে গিয়ে সরাসরি স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপি প্রদান শেষে হাতীবান্ধা আলহাজ্ব সমসের উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক বলেন, বর্তমান উদ্ভুত পরিস্থিতিতে হাতীবান্ধা উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এর ফলে বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পরিবেশ ও দাপ্তরিক বিভিন্ন কাজে বিঘ্ন ঘটছে।

ইতোমধ্যে বেশ কিছু প্রধান শিক্ষককে হুমকি ধমকি দেয়া হচ্ছে এবং দক্ষিণ জাওরনী আব্দুল লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সন্ত্রাসী কায়দায় বিধি বর্হিভূতভাবে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে যাহা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দু:খজনক। শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা এবং নিয়ম বহিভূতভাবে পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করার দাবী ওই প্রধান শিক্ষকের।

এ বিষয়ে দক্ষিণ জাওরানী আব্দুল লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীদের উসকিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সাকিব হোসেনের বাবা দুলাল হোসেনের স্কুলের জমিতে একটি সারের দোকানে রয়েছে।এই দোকানের ভাড়া নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে সাকিব।

ঘটনার দিনে ২ হতে ৩শ’ জন বহিরাগত লোক এসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমাকে জোর পূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে নিয়েছে। আমি এদের বিচার দাবী করছি। তবে আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী সাবেক শিক্ষার্থী সাকিব হাসান বলেন, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে দূর্নীতি করে আসছে। দূর্নীতি করে সম্পদের অঢেল পাহাড় গড়ে তুলেছেন।

যে কারনে আমরা সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা পদত্যাগপত্র কার্যকর দাবী করছি। হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, দক্ষিণ জাওরনী আব্দুল লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করে ২ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও একাডেমিক সুপারভাইজারকে নিয়ে এ তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।