লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ব্যক্তিগত আক্রোশে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ব্যক্তিগত আক্রোশে বসত ভিটার সামনে বাশের বেড়া ও গর্ত খুড়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে গ্রাম পুলিশ নুর ইসলাম বুলুর বিরুদ্ধে। এতে করে অবরুদ্ধ অবস্থায় দুটি পরিবারকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

এছাড়া যে কোন মূহুর্তে বাড়ির ছোট বাচ্চারা গর্তে পড়ে আহত হতে পারে এমন দুঃশ্চিন্তায় রয়েছে পরিবার দুটি।

রবিবার দুপুরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ষাটোর্দ্ধ মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এর আগে শনিবার উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব বেজগ্রাম এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
অভিযুক্তরা হলেন, টংভাঙ্গা ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ নুৃর ইসলাম বুলু(৪০), জোবেদ আলী(৬০), জলিল(৬০), নুলু(৩৮) ও ছালাম(২৮)।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী মতিয়ার রহমানদের সাথে অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ বুলুদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। সেই বিরোধের জেড়ে গত শনিবার দুপুরে বুলু ও তার লোকজন মতিয়ারের বাড়ির সামনে এসে বাশের খুটি ও বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেন। এমনকি বেশ কয়েকটি গর্ত খুড়ে রাখেন। এ সময় বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ না থাকায় মহিলারা এসে বাধা দিলে তাদের ভয় ভীতি দেখায়।

সরেজমিনে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সামনের উঠানে বেশ কয়েকটি গর্ত খোড়া আছে। আর তার সাথে বাশের খুটি পুতে বেড়া দেয়া হয়েছে। এতে করে ওই দুটি পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে আর তারা বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না।

এ সময় ভুক্তভোগী মতিয়ার রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার দাদা ও বাবার সময় থেকে এখানে আমাদের বাড়ি। আমরাও বসবাস করে আসছি। ইতিমধ্যে অভিযুক্তরা আমাদের বসত ভিটা তাদের বলে দাবি করে আসছে। এ নিয়ে আমরা তাদের নিয়ে বসে সমাধান করতে চাইছি। তারা যদি জমি পেয়ে থাকে তাদের বুঝিয়ে দেয়া হবে। কিন্ত তারা সেই ধরনের কোন সমাধানে আসছে না।

আমার ছোট ভাই ঢাকায় চাকুরি করে। আমিও শনিবার বাড়িতে ছিলাম না। বুলু ও তার লোকজন এসে বাড়ির সামনে বেড়া দিয়ে ও গর্ত খোড়া শুরু করে। বাড়ির মহিলারা বাধা দিলে তাদের লাঠি সোঠা নিয়ে ভয় দেখায়। আমরা এখন বাড়ি থেকে বের হতে পারছিনা। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মতিয়ারের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী পারুল বলেন, বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ ছিলো না। তার জোড় পূর্বক এখানে এসে বাশের বেড়া ও গর্ত খুড়ে। আমরা নিষেধ করলে তেড়ে আসে। আমরা এখন বাড়ি থেকে বের হতে পারছিনা। সব চেয়ে বেশি ভয় হচ্ছে ছোট বাচ্ছাদের নিয়ে। তারা তো অবুঝ। হুট করে বাইরে বের হয়ে যদি গর্তে পড়ে হাত পা ভেঙ্গে আহত হয় তখন এর দায় কে নিবে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ নুর ইসলাম বুলু বলেন, আমি আমার জমিতে বেড়া ও গর্ত খুড়েছি। তাদের চলাচলের রাস্তা রয়েছে। আমি কেন তাদের রাস্তা বন্ধ করতে যাবো।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন্নবী বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।