লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ওসির বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাদের টার্গেট করে হেনস্তার অভিযোগ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত হয়রানির অভিযোগ উঠেছে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন নবীর বিরুদ্ধে। স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ হিসেবে ওসি দলীয় নেতাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, মিথ্যা মামলা এবং অপতৎপরতায় জড়িয়ে রেখেছেন।
সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাত আনুমানিক ২টার দিকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহ নূরনবী খন্দকার কাজলকে কোনো অভিযোগ বা মামলা ছাড়াই তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। তারপরে দলের নেতাকর্মীদের চাপ ও প্রতিবাদের কারণে প্রায় ১১ ঘণ্টা পর সকালে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হন পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, এক মামলায় ফকিরপাড়া ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি মমিনুর রহমানকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়। ওসি মাহমুদুন নবীর বিরুদ্ধে কিছু অনিয়ম ও দলীয় পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছিল। কৃষকদল নেতা মমিনুর রহমানকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নেয়ার পর থেকে শাহ নূরনবী খন্দকার কাজলকে নানামুখী হয়রানি করার পরিকল্পনা নেয় ওই ওসি এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের।
আটককৃত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহ নূরনবী খন্দকার কাজল বলেন,“আমার নামে কোনো মামলা বা অভিযোগ না থাকলেও রাত ২টার সময় পুলিশ জোরপূর্বক আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নেয়। আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয় এবং আমার স্ত্রীকে হেনস্থা করা হয়। এটি নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক হয়রানি।”
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ও স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতার একই নাম থাকায় ভুলবশত ওই নেতাকে আটক করা হয়েছে। তবে ভুক্তভোগীদের দাবী ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ১৫ দিন আগে জামিনে মুক্ত হয়ে রিকলও থানায় জমা দিয়েছেন।
লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো: তরিকুল ইসলাম বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে ধরতে গিয়ে ভুলবশত একই নাম হওয়ায় স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতাকে আটক করা হয়েছে। যে কোন আসামি ধরার ক্ষেত্রে আরো সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। এটি একটি ভুল বুঝাবুঝির ঘটনা ছিল।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন