লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ঋনের টাকার চাপে কন্যা সন্তান বিক্রির চেস্টা

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ঋনের টাকার চাপ সামলাতে না পেরে কন্যা সন্তান বিক্রয় চেস্টা করে এক পিতা। বৃহস্পতিবার এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে উপজেলার চর সিন্দুর্না গ্রামের ২ নং ওয়ার্ডে। ওই কন্যা সন্তানের বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, অভাবের সংসার।

সামান্য জমি জমা বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করি। গত মৌসুমে ভুট্টা, পিঁয়াজ ও বাদাম চাষাবাদের জন্য ৩ সুদের কারবারি ও একজন বন্ধুর নিকট ৩ লক্ষাধিক টাকা সুূদ হিসেবে গ্রহন করি। ফসল বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা পরিশোধ করার পরও সুদসহ আরো ৪ লক্ষাধিক টাকা সুদারুরা পায়।

প্রতিদিন ওই টাকার চাপে দিশেহারা হয়ে পড়ি। কোনখানে কোন টাকা জোগাড় করার উপায় নেই। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে ২ বছরের কন্যা সন্তান বিক্রির সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হই।

খবর পেয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশ কয়েকজন আমার বাড়ি শিশু সন্তানটিকে নেয়ার জন্য ছুটে আসে। এ বিষয়টি আমার স্ত্রীর নজরে আসে। সে শিশু মেয়েটিকে নিজের আয়ত্বে রাখতে কান্নাকাটি শুরু করলে স্থানীয়দের নজরে আসে।

এ ঘটনার বিষয়ে মোজাম্মেল হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, ঋনের টাকা পরিশোধে নিজের কন্যা সন্তান বিক্রয় করার চেস্টা করে। তার স্ত্রীর কান্নাকাটিতে আমরা তার বাড়িতে এসে বিষয়টি জানতে পারি। আমাদের বাঁধায় ওই কন্যা সন্তানটিকে বিক্রয় করতে পারেনি। হাবিবুরের স্ত্রী নুরনাহার বলেন, ঋনের চাপে স্বামী আমার বাচ্চা বিক্রয় করার চেস্টা করে।

কিন্তু কোনভাবে আমার সন্তানকে বিক্রয় করতে দেবো না। সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আরিফুল ইসলাম বলেন,খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে পাঠিয়ে সন্তান বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ করে ভুক্তভোগী পরিবারকে পরিষদে ডেকে নিয়ে আসি। পাওনাদারদের সঙ্গে বসে এ বিষয়ে মিমাংসা করে দেয়ার চেষ্টা চালানোর পাশাপাশি হাবিবুর রহমানের স্ত্রীর নামে ভিজিডির কার্ড করে দিয়েছি।