লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় প্রশিক্ষনার্থীদের চাপে টিটিসির অধ্যক্ষের পদত্যাগ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় নানা অনিয়ম ও দুনীর্তির অভিযোগ তুলে প্রশিক্ষনার্থীদের চাপে টিটিসির অধ্যক্ষ শাহিনুর আখতার ও অফিস সহকারী আমিনুল ইসলামকে পদত্যাগে বাধ্য করায়। রোববার সকালে এ দাবীর সমর্থনে টিটিসির সামনের মহাসড়ক অবরোধ করে ওই কর্মকর্তার নানা অপকর্মের সমর্থনে শ্লোগান দিতে থাকে প্রশিক্ষনার্থীরা।

এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এনামুল হক ও মাইদুল ইসলাম। এতে বক্তব্য রাখেন কম্পিউটার অপারেশন বিভাগের শিক্ষার্থী আসাদুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, সাথী প্রমুখ। এতে কর্মসূচিতে শতাধিক নারী ও পুরুষ প্রশিক্ষনার্থী অংশ নেয়। তারা টিটসির হাতীবান্ধার অধ্যক্ষ শাহীনুর আখতারের নানা অনিয়ম ও দুনীতি তুলে ধরে বক্তব্য দিতে থাকে।

সড়ক অবরোধ শেষে প্রশিক্ষনার্থীরা ওই অধ্যক্ষের রুমে প্রবেশ করে রুম থেকে নিচে নামিয়ে আনে। পরে প্রশিক্ষনার্থীদের চাপে সাদা কাগজে পদত্যাগ করার কথা লিখে স্বাক্ষর করে। এসময় তার অফিস সহকারী আমিনুর রহমানও পদত্যাগ করেন। এ খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

প্রশিক্ষনার্থী আসাদুল ইসলাম বলেন, প্রশিক্ষণে ম্যাটেরিয়্যালস বাবদ বরাদ্দ জনপ্রতি ১৮০০ টাকা থাকলেও সেখানে লো কোয়ালিটর ব্যাগ, খাতা, কলম, টিশার্ট, সিবিএলম প্রদান করা হয়েছে। প্রশিক্ষণে নিয়োগ, সনদ বিতরণ মালামাল ক্রয় ও বিতরণের ক্ষেত্রে নিয়ম না মেনে টিটিসি অধ্যক্ষ অনিয়ম করেছে।

হাতীবান্ধা থানা ওসি মাহমুদুন নবী বলেন, মব সৃষ্টি করে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করানো আইন সমর্থন করে না।এ ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা টিটিসির অধ্যক্ষ শাহীনুর আখতার তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রশিক্ষনার্থীদের চাপে পদত্যাগ করেছি। তিনি এ বিষয়ে আরো বলেন, আমার বিপক্ষে ইউএনও বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করার কথা শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করার কথাও ছিল। কিন্তু তদন্ত করার আগে আমাকে পদত্যাগে চাপ দেয়া হলে আমি বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেই।