লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা নদীর তীর রক্ষায় বাঁশের বান্ডেল ভূমিকা রাখবে- ইউএনও

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় বাঁশের বান্ডেল তৈরি করে ভাঙ্গন রোধের চেস্টা করছে। প্রকল্পটি পরিক্ষামূলক হলেও ভাঙ্গন রোধে এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। পরিদর্শনে গিয়ে এমনই অভিমত হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিঞার।
পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের বাঁশের বান্ডেল স্থাপনের মাধ্যমে নদীর তীর রক্ষা প্রকল্পটির প্রস্তাব শুনে শুরুতে মনে হচ্ছিল এটা আসলে কোন কাজে আসবে না। কিন্তু বাস্তবায়নের পর মনে হলো বেশ কার্যকরী হবে।
নদীর মূল নাব্যতা ঠিক রেখে মাস খানেকের ব্যবধানে তীরের কাছাকাছি মাটির স্তর জমে মূল স্রোত মাঝ নদীর দিকে সরে যাচ্ছে। মূল সরঞ্জাম বলতে বাঁশ, জিআই তার আর মানুষের শ্রম দিয়েই নদী রক্ষার প্রকৃতি ভিত্তিক সমাধানের মাধ্যমে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব।
এসময় সহকারী কমিশনার ভূমি রন্টি পোদ্দার, পিআইও উত্তম কুমার নন্দী, গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের মনিটরিং ম্যানেজার আকবর হোসেন ও প্রজেক্ট অফিসার রবিউল হাসান সঙ্গে ছিলেন। জুরিখ ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স প্রজেক্টের আওতায় গণ উন্নয়ন কেন্দ্র এর উদ্যোগে ওয়াল্ড ওয়াইড উক্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেন। এটি উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়েছে।
তিস্তা নদীর ভাঙ্গন রোধে কাজ করছেন বেসরকারী সংস্থা এনজিও গন-উন্নয়ন কেন্দ্র। বন্যার সময় তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় ভাঙ্গনে দিসেহারা হয় তিস্তা তীরবর্তী বসবাসকারী মানুষ। বন্যার গ্রাস থেকে তিস্তার তীরবর্তী বাচাতে বান্ডেল প্রকল্পের কাজ করে তাক লাগালেন গনউন্নয়ন কেন্দ্র।
কনসার্ন ওয়াল্ডওয়াইড এর সহযোগিতায় ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যায়ে জুরিক ক্লাইমেন্ট রেজিলিয়েন্স প্রজেক্টের আওতায় নদীর পাড় সংরক্ষণে বাশের বান্ডেল স্থাপন করা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন








