লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বিএমডিসির সেচ সুবিধায় ফসলে সবুজ বিপ্লব
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিসি) সেচ সুবিধায় কৃষকের ফসল উৎপাদনে সবুজ বিপ্লব ঘটিয়েছে।
বিএডিসির হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন বলেন, হাতীবান্ধা উপজেলায় ১৭১২ হেক্টর জমিতে ১০৭টি গভীর নলকুপের মাধ্যমে সেচ দেয়া হচ্ছে। এ সেচ সুবিধায় সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে উপজেলার সানিয়াজান ও গড্ডিমারী ইউনিয়নের চরাঞ্চলের কৃষকগণ। ট্রান্সফরমার স্থাপন করে সকলের ঘরে ঘরে বিদুৎ সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
এছাড়াও সোলার চালিত ৪টি পাত কুয়া স্থাপন করে বিনামূল্যে চাষকৃত সবজির জমিতে সেচ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। কৃষি মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসনের দিক নির্দেশনায় ২ ইউনিয়নে ৬টি এলএলপি স্থাপন করে বরেন্দ্র প্রকল্প অল্প খরচে ভুট্টা ক্ষেতে সেচ সুবিধা দেয়া হয়েছে। যে কারনে এ এলাকায় বোরো ও ভুট্টার ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাড়াইপাড়ার কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, বরেন্দ্র উন্নয়ন প্রকল্প কৃষকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে পূর্বের কূপন পদ্ধতি বাতিল করে প্রি মিটার কার্যক্ষম চালু করেন। এতে আমরা কম খরচে নিরবিচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা গ্রহন করছি। বিএমডিএ’ র সেচ কার্যক্ষম চালুর আগে কৃষকের ফসলের চাষাবাদ অনেকটা নির্ভর করতো বৃষ্টির উপর।ফলনো তুলনামূলক কম হতো।কিন্তু বরেন্দ্র বহুমূখী সেচ প্রকল্পের কল্যাণে এখন সে চিত্র বদলে গেছে। চর গড্ডিমারী গ্রামের ভুট্টা চাষী আব্দুল মান্নান বলেন, বরেন্দ্র সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে সেচ সুবিধা আমাদের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। আগে আমরা স্যালো মেশিনের সাহায্যে সেচ সুবিধা দিতাম। তাতে কস্ট ও ব্যয় উভয় বেশি ছিল। আগে ২৭ শতাংশ জমিতে খরচ হতো ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার। কিন্তু ভুট্টায় সেচ সুবিধা দিতে কস্ট কম লাগে খরচও কম হয়।বরেন্দ্রে বিঘা প্রতি সেচ বাবদ খরচ হয় ৫০০ টাকা। বরেন্দ্র সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে কম খরচে সেচ সুবিধা পাওয়ায় সুফল পাচ্ছে স্থানীয় কৃষকগণ।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেন বলেন, এ সরকার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে নানাবিধ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।বিএমডিএ’র সেচ সুবিধা তারমধ্যে অন্যতম। কৃষকরা তাদের চাহিদামত কম খরচে সেচ সুবিধা পাচ্ছে। ফলে কৃষি জমিতে ফলন বৃদ্ধি পাওয়ায় লাভবান হচ্ছে কৃষকগণ। তিস্তার জেগে উঠা চরে ভুট্রার বাম্পার ফলনে লাভবান হচ্ছে কৃষক সাধারণ। চারদিকে যেন সবুজের সমারোহ। দিগন্ত জুড়ে শুধু ফসলের মাঠ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন