লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ধান ক্ষেতে স্প্রে করে ধান গাছ নষ্টের অভিযোগ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় রোপণকৃত বোরো ধান ক্ষেতে ক্ষতিকারক ঘাস মারা ঔষধ স্প্রে করে ১ একর ৫৮ শতক জমির ধান গাছ নষ্ট করে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে আনুমানিক ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী কৃষক আমিনুর রহমান।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টম্বর) রাতে ভুক্তভোগী আমিনুর রহমান বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেক করে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের দালালপাড়া গ্রামে। বুধবার সরেজমিনে গিয়ে ধান ক্ষেত মরে হলুদ রং ধারন করছে এ ধরনের দূূশ্য চোখে পড়ে।
ধান ক্ষেত নষ্ট করার ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার দালাল পাড়া গ্রামের ওমর আলী, আ: সোবাহান, রেজাউল, সামশুল, ওয়াহেদ, বাতেন, নজরুল, জুলফিকার আলী ভুট্টু, অহিলা বেগম, রিপা বেগম, ময়না বেগম ও রাশেদা বেগম।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী কৃষক আমিনুর রহমান তার নিজ ১ একর ৫৮ শতক জমিতে বোরো ধান রোপণ করেন। কিন্ত পূর্ব শত্রুতার জেরে ওই এলাকার ওমর আলী, আ: সোবাহানসহ বেশ কয়েকজন গত শুক্রবার রাতে ক্ষতিকর ঘাসমারা ঔষধ স্প্রে করে। এতে ধান গাছ গুলো বিবর্ণ হয়ে মরে যায়।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আমিনুর রহমান আমিন (৭৩) জানান, ওমর আলীদের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সেই শত্রুতার জেড়ে গত শুক্রবার রাতের আধারে ওমর আলীসহ বেশ কয়েকজন আমার ১ একর ৫৮ শতক জমির ধান ক্ষেতে ঘাস মারা ঔষধ স্প্রে করে পুড়িয়ে দেয়। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুস ছোবাহান বলেন, এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা নিজেই ধান ক্ষেত নষ্ট করে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ধানের ক্ষেত দেখতে সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেছি। তাদেরকে আইনের সহায়তা নিতে বলা হয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, বিষয়টি শুনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখত আবেদন করতে বলছি। ক্ষতিগ্রস্থ ধান ক্ষেত দ্রুত পরিদর্শন করা হবে।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এরশাদুল আলম জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন