লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ :নিহত ১

হরতালকে কেন্দ্র করে লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ হয়েছে। এতে জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৫) নামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আওয়ামী লীগের চার কর্মী।

রোববার (২৯ অক্টোবর) দুপুর ২টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কর্মী মারা যান। বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান।

এর আগে রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নে এ সংঘর্ষ ঘটে। নিহত জাহাঙ্গীর মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য। তিনি ওই ইউনিয়নের বেড়পাংগা গ্রামের আজিজার রহমান ছেলে।

আহতরা হলেন- মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী বাবলু (৩৫), রাজু (৩৮), দুলাল (৪৪) ও আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মী পলাশ (২৬)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকে লালমনিরহাটের বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল ও পিকেটিং করতে থাকে বিএনপির নেতাকর্মীরা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাপ্টিবাড়ি বাজারে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা। এক পর্যায়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম হরতাল বিরোধী মিছিল নিয়ে বের হলে ধাওয়া পালটা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় বিএনপির দুই কর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়।

বেলা ১১টার দিকে আদিতমারী উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে মিছিল নিয়ে যান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে সংঘর্ষ শুরু হলে এক আওয়ামী লীগ কর্মী আহত হন। এ সময় বিএনপির অফিসের চেয়ার ও সাইনবোর্ড ভাঙচুর করেন আওয়ামী লীগ সমর্থকরা। বর্তমানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

অপর দিকে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন ও তিন আওয়ামী লীগ কর্মী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ দুই রাউন্ড রবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি শান্ত করেন ।

এছাড়া মিশন মোড় এলাকায় পুলিশের দুটিসহ চার মোটরসাইকেলে ভাঙচুর চালিয়েছে বিএনপির সমর্থকরা । লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক  বলেন, লালমনিরহাট শহরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় শহরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।