লালমনিরহাটে তিস্তা বন্যার্তদের মাঝে খিচুড়ি বিতরণ করলেন তুরস্ক প্রবাসী শিহাব আহমেদ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তিস্তা নদীর ভাঙন ও বন্যায় পানিবন্দী ১,০০০ বন্যাদুর্গত মানুষের মধ্যে এই খাবার বিতরণ করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তুরস্ক প্রবাসী এবং হাতীবান্ধা–পাটগ্রাম আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শিহাব আহমেদ।
সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে গড্ডিমারী ও সানিয়াজানও দহগ্রাম ইউনিয়নের বন্যাকবলিত এলাকায় রান্না করা খিচুড়ি বিতরণ করেন তিনি।
ত্রাণ নিতে আসা আব্দুর রহমান বলেন,“দুই দিন ধরে বন্যায় ঘরবন্দী ছিলাম, কেউ খোঁজ নেয়নি। আজ শিহাব আহমেদ খাবার দিয়েছেন আমরা খুব খুশি।”
সালমা বানু বলেন, এই দুই দিন রান্না করতে পারি নি। চুলায় পানি ভর্তি, ঘরে থাকার জায়গা নেই। সারা রাত জেগে জেগে পাট করছি। যখন অনায়াসে দিন পার করছি তখনই আমাদের মাঝে শিহাব ভাই খাবার নিয়ে আসলেন। তিনি একমাত্র মানবতার ফেরিওয়ালা। তিনি ছাড়া আমাদের ভালো খেয়াল নেন না কেউ। তার রান্না করা খেচরী খেয়ে শান্তি পেলাম। আল্লাহ তার মনে ইচ্ছে যেন পূরন করে।
ত্রাণ বিতরণের সময় শিহাব আহমেদ বলেন,“আমি সামান্য ত্রাণ নিয়ে এসেছি, এটা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। তিস্তা মহা পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। লালমনিরহাটবাসীর পক্ষ থেকে আমি সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই দাবিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। দেশের রাজনীতিবিদদেরও মানবতার পাশে দাঁড়ানোর সময় এসেছে।
প্রসঙ্গত, গত তিন দিনের টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করে ফ্লাড বাইপাস খুলে দেয়ায় নিম্নাঞ্চলের বহু এলাকা প্লাবিত হয়।
এতে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার কয়েকটি উপজেলা বন্যার কবলে পড়ে। তবে সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় তিস্তা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ৫২.০৫ মিটার, যা বিপদসীমা (৫২.১৫ মিটার) থেকে ১০ সেন্টিমিটার নিচে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন