লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে আজিনুর রহমান (২৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবককে ধরে ভারতে নিয়ে গিয়ে কাঁটাতারের বেড়ার সাথে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় নাগরিকদের বিরুদ্ধে।

ঘটনার পর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ওই যুবককে উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে পাটগ্রাম উপজেলার বাউড়া ইউনিয়নের জমগ্রাম ডাঙ্গার পার এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ৮০১ এর ১০/১১ সাব-পিলারের কাছে এই ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার আজিনুর রহমান ওই ইউনিয়নের জমগ্রাম ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুর হোসেনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজিনুর তার মায়ের সাথে প্রতিদিনের মতো সীমান্ত সংলগ্ন নিজেদের ভুট্টা খেতে ভুট্টার পাতা সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। এসময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহার জেলার অন্তর্গত ১০৮ ছোট কুচলীবাড়ি এলাকার ১০-১২ জন ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে প্রবেশ করে আজিনুরকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়।

অভিযোগ উঠেছে, পরে তাকে ভারতীয় অংশে নিয়ে গিয়ে কাঁটাতারের বেড়ার সাথে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। খবর পেয়ে নিকটবর্তী ভারতীয় স্বরস্বতি ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আজিনুরকে উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নেয়।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর ঠ্যাংঝাড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে আজিনুর রহমান সীমান্ত দিয়ে গরু চোরাচালানের চেষ্টা করছিলেন। সে সময় ভারতীয় নাগরিকরা তাকে আটক করে বিএসএফের কাছে সোপর্দ করে। তিনি আরও জানান, আটক যুবককে বাংলাদেশে ফেরত আনার জন্য বিএসএফের সাথে পতাকা বৈঠকের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এই ঘটনার মাত্র দুদিন আগে গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) একই উপজেলার মধ্য সিঙ্গিমারী সীমান্তের ৮৯৪ নম্বর প্রধান পিলারের কাছ থেকে হাসিনুর রহমান (২৪) নামে আরেক বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে টেনেহেচরে নিয়ে যায় বিএসএফ।

পরদিন বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে পাটগ্রাম উপজেলার খারিজা জোংড়া সীমান্ত এলাকায় বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক শেষে হাসিনুরের মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ। পরপর ঘটে যাওয়া এই ঘটনাগুলোতে সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা ও উদ্বেগ বিরাজ করছে।