লালমনিরহাটে রঙিন ফুলকপিতে বাজিমাত
লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ খেতে সবুজ পাতার ভিতর থেকে উঁকি দিচ্ছে বাহারি রঙিন ফুলকপি। রঙিন ফুলকপি সাধারণত বিদেশি সবজি। এটা বিভিন্নভাবেই খাওয়া যায়। বিশেষ করে উন্নত বিশ্বে চীন ও অস্ট্রেলিয়ায় সালাদ হিসেবে খাওয়া হয়।
তবে বাংলাদেশে এটার প্রচলন কম হলেও এবার সখের বসে রঙিন ফুলকপি চাষ করে সফল বাজিমাত পেয়েছেন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের রুদ্রেশ্বর এলাকার এক উদ্যোক্তা সামাদ মিয়া। এখন তার মাঠ জুড়ে সবুজ পাতার মাঝে গোলাপি ও হলুদ রঙের ফুলকপি শোভা পাচ্ছে। দূর থেকে বোঝা না গেলেও কাছ থেকে কপির এমন ভিন্ন রঙ মুগ্ধ করবে।
কালীগঞ্জ উপজেলায় সাদা রঙের কপি নিয়মিত চাষ হলেও এ বছর প্রথম রঙিন কপি চাষ হচ্ছে। খরচ কম হওয়ায় লাভ বেশি। রঙিন কপির চাহিদা রয়েছে দেশের বাজারে। দূর দূরান্ত থেকে সাধারণ মানুষ ছুটে আসছেন এ কপি দেখতে। কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষকরা উচ্চ মূল্যের এ জাতের কপি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
সামাদ মিয়া জানান, রঙ্গিলা হলুদ জাতের। চারা তৈরির জন্য বীজতলায় রোপণ করে নিয়মিত পরিচর্যা করতে হয়। ২৫-৩০ দিনের মধ্য চারা লাগানোর উপযুক্ত হয়। এরপর বীজতলা থেকে চারাগুলো সংগ্রহ করে জমিতে আবাদের পর নির্দিষ্ট পরিমাণ সার, কীটনাশক ও সেচসহ সব ধরনের পরিচর্যা করতে হয়। গাছ বড় হওয়ার পর ছোট ছোট গুটি বাধতে শুরু করে। তারপর ৬৫-৭৫ দিনের মধ্য কপি বাজারে বিক্রির উপযুক্ত হয়।
নারী উদ্যোক্তা রাবেয়া খাতুন জানান, হাটে সবজি বিক্রি করে গ্রামের ভেতর দিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলাম। হঠাৎ হলুদ ও গোলাপি রঙের কপি দেখা ক্ষেতের সামনে দাঁড়াই। রঙিন কপি এর আগে কখনও দেখিনি। কপি দেখে খুব ভাল লাগলো। বীজ পেলে এ জাতের কপি চাষ করবো। রঙ দেখে মানুষ ক্ষেতে ভিড় করবে।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি জানান, কালীগঞ্জের মাটি কৃষির জন্য উর্বর। এখানে সব ফসল চাষ করা সম্ভব। উচ্চ মূল্যের ফসল চাষে কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন। রঙিন কপির বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিক্রি শুরু হয়েছে। দাম ভাল পাচ্ছে। খরচ তুলনামূলক কম। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হয়। উপজেলায় বড় পরিসরে এ কপি করতে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন