লালমনিরহাটে শিক্ষক দম্পতির কমলা বাগানে থোকায় থোকায় ধরেছে কমলা
লালমনিরহাটে কমলা চাষে সফল শিক্ষক দম্পতি খলিলুর রহমান ও ফাতেমা খাতুন মজুমদার। খলিলুর রহমান মিলনবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। আর ফাতেমা খাতুন মজুমদার পশ্চিম সারডুবি পূর্ব পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তাদের বাড়ী লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পশ্চিম সারডুবি গ্রামে।
ওই দম্পত্তির কমলা বাগান রঙে রঙে রঙ্গিন করে তুলেছে। থোকায় থোকায় ধরেছে কমলা। বাগানে গেলে কাঁচা- পাকা কমলার রঙে চোখ জুড়ে যায়।ভরে যায় মন। কমলার গন্ধে ডালে ডালে উড়ছে প্রজাপতি আর মৌমাছি। এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য চোখে পড়ে ওই শিক্ষক দম্পতির কমলা বাগানে। তাদের এ কমলা বাগান এলাকায় ব্যাপকভাবে সাড়া জাগিয়েছ। ২০১৬ সালে পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার।
এতে কমলা চাষে আগ্রহ বেড়েছে তাদের আরো কয়েকগুন।২০১১ সালে ৩৩ শতাংশ জমিতে কমলা বাগান শুরু করলেও এখন আরো ১ একর জমিতে কমলার বাগান সম্প্রসারিত করেন।ফাতেমা কমলা বাগানে এখন ৪ জাতের কমলা রয়েছে। চায়না, দার্জিলিং, মিশরীয় চায়না ও নাগপুরী জাতের চায়না কমলা।এ শিক্ষক দম্পতির কমলা চাষে সাফল্য দেখে এ জেলায় অনেকে কমলার বাগান শুরু করেন।
এছাড়াও তাদের নার্সারি রয়েছে। যেখানে বিভিন্ন জাতের কমলার চারা, সুপারি, আম, কাঁঠাল ও লিচুর চারা পাওয়া যায়। এ কমলা বাগানকে কেন্দ্র করে এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হওয়ার পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য রাস্তাও পাকা হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়,এ এলাকার কমলা বাগান আমাদেরকে গর্বিত করেছে। এতো সুন্দর একটি কমলা বাগান। এ বাগানকে ঘিরে একদিকে যেমন যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে অপরদিকে আর্থ সামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
শিক্ষক দম্পতি খলিলুর রহমান ও ফাতেমা খাতুন মজুমদার বলেন,শখের বসে শিক্ষকতার পাশাপাশি কমলা চাষে জড়িয়েছি। ২০১১ সালে কমলা বাগান করার পর থেকে কৃষি বিভাগের সহযোগিতা পেয়েছি। তাদের সহযোগিতায় কমলা বাগানে সফলতা আসে। অর্জন হয় জাতীয় কৃষি পুরস্কার। ফলে কমলা চাষে আরো আগ্রহ বেড়ে যায়।
হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিজানুর রহমান বলেন, ফাতেমা খাতুন মজুমদার জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত কমলা চাষী। কমলা বাগান করে তিনি সফলতা পেয়েছেন। ফাতেমা কমলা বাগান থেকে অনেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন নতুন কমলা বাগান করছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন