লালমনিরহাটে সালিশি বৈঠকে জনপ্রতিনিধির উপর হামলার অভিযোগ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় সালিশি বৈঠক চলাকালিন জনপ্রতিনিধি মনোয়ার হোসেনের(৪৭) উপর অতর্কিত হামলা ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে ব্যবসায়ী আজিজুল ইসলাম(৫৫) গংদের বিরুদ্ধে। এতে গুরতর আহত মনোয়ার হোসেন হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

এ ঘটনায় ২১ জুলাই শুক্রবার দুপুরে আজিজুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে আরও ৮ জনের নাম উল্লেখ করে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মনোয়ার হোসেন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বড়খাতা দোয়ানী মোড়ে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের রমনীগঞ্জ গ্রামের মৃত শমসের আলীর ছেলে আজিজুল ইসলাম(৫৫), তার ছেলে নুর ইসলাম(৩৬) ও নজরুল ইসলাম নজু(৩৩), দোলাপাড়া গ্রামের খলিলুর রহমান(৪৫), পশ্চিম সাড়ডুবি এলাকার জাহিনুর(২৮), শাহিনুর(২৫) এবং পশ্চিম ফকিরপাড়া এলাকার আশিয়ার রহমান(৫০), রশিদুল ইসলাম হৃদয়(৩২)।

ভুক্তভোগী মনোয়ার হোসেন উপজেলার বড়খাতা গ্রামের মৃত আজিজের ছেলে। এছাড়া সে লালমনিরহাট জেলা পরিষদের সদস্য।

জানা গেছে, অভিযুক্ত আজিজুল ইসলাম ও তার ভাই মফিজুল ইসলামের জমি বিক্রির ১ লক্ষ টাকা নিয়ে বিরোধ চলছিলো। এমতাবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাতে জেলা পরিষদ সদস্য মনোয়ার হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সেই বিরোধ নিয়ে সালিশি বৈঠক বসে। সালিশি বৈঠক চলাকালীন ওই দুই ভাইয়ের মাঝে বাকবতিন্ডা শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে অতর্কিত ভাবে মনোয়ার হোসেনের উপর হামলা করেন আজিজুল গংরা। এ সময় তার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানেও ভাংচুর করেন তারা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা পরিষদের সদস্য মনোয়ার হোসেন বলেন, আমি একজন জনপ্রতিনিধি। বিষয়টি নিয়ে আপোষ মিমাংষার জন্য সালিশি বৈঠক বাসনো হয়। এ সময় তাদের মাঝে তর্ক বাধে। আমি দু পক্ষকেই থামতে বলি। কিন্ত এ সময় আজিজুল ও তার লোকজন আমার উপর হামলা চালিয়ে মারধর শুরু করেন। এমনকি আমার দোকান-ঘরও ভাংচুর করেন তারা। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযুক্ত আজিজুল ইসলাম বলেন, মনোয়ারকে কোন মারধর করা হয়নি। শুধু আমার ভাইয়ের সাথে তর্ক হয়।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।