লালমনিরহাটে স্কুল পরিচালনার বিরোধে খুন হন বীরমুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলী
লালমনিরহাটে পাটগ্রাম ফাতেমা প্রি ক্যাডেট এন্ড কিন্ডার গার্টেন স্কুলের পরিচালক ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ ওয়াজেদ আলীর (৬৮)। তাঁর সঙ্গে বিরোধ চলছিল ওই স্কুলের শিক্ষক নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবুর।
স্কুল পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এম ওয়াজেদ আলীর সঙ্গে বিরোধ চলছে বাবুর। এরই জের ধরে এম ওয়াজেদ আলীকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওয়াজেদ আলীর ছোট ছেলে রিফাত হোসেন বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। উক্ত মামলায় নাহিদুজ্জামান প্রধান ওরফে বাবুকে প্রধান আসামীসহ আরোও অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। যার মামলা নং-১৪, তারিখ-২২/০১/২০২৩।
নাহিদুজ্জামান প্রধান উপজেলার রসুলগঞ্জ পূর্বপাড়া এলাকার আব্দুস ছামাদ প্রধানের পুত্র। হত্যাকান্ডের ঘটনার পর থেকে বাবু গা ঢাকা দিয়েছে। নাহিদুজ্জামানকে আটক করলে হত্যাকান্ডের আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন বিজ্ঞমহল।
প্রসঙ্গত, লালমনিরহাটের পাটগ্রামে প্রয়াত আবেদ আলী এমপির ভাই বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ এম ওয়াজেদ আলীকে (৬৮) কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। শুক্রবার (২০ জানুয়ারী) রাতে পাটগ্রাম পৌরভবন সংলগ্ন ফাতেমা প্রি ক্যাডেট স্কুলের গলির সামনে তাকে হত্যা করা হয়। তাঁর মাথা ও গলায় ছুরির আঘাত রয়েছে। তিনি পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুলের মামা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাজার থেকে নিজ বাসায় ফিরার সময় পিছন থেকে সন্ত্রাসীদের আক্রমণে গুরুত্ব জখম হন ওয়াজেদ আলী। পরবর্তীতে শোর গোলের আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষনা করেন।
এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে এম ওয়াজেদ আলীর গ্রামের বাড়িতে জানাযা শেষে লাশের দাফন সম্পন্ন করা হয়। এ ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয়রা। প্রশাসন তা্ঁর জানাযায় গার্ড অব অনার দিয়েছেন। পাটগ্রাম থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, আসামী গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন