লালমনিরহাটে ৪৬৩ মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি
এবার লালমনিরহাটে ৪৬৩ পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। সনাতন ধর্মীয়দের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে লালমনিরহাটের মণ্ডপে মণ্ডপে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রতিমাশিল্পীরা। এ শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হতে আর মাত্র দুই এক দিন বাকি রয়েছে।
জানা গেছে, হিন্দু সম্প্রদায়ের দূর্গোৎসব আবহমান বাংলার শ্বাশত সংস্কৃতির অংশ হিসেবে এবার লালমনিরহাট জেলা সদর উপজেলা সহ আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার ৪৫টি ও ২টি পৌরসভা এলাকায় ৪শ ৬৩টি পূজামন্ডবে দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। তারমধ্যে জেলা সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ১শ ৬০টি, লালমনিরহাট পৌরসভা এলাকায় ২৫টি। আদিতমারী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ১শ ১৪ টি, কালীগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৮৯টি, হাতীবান্ধা উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৭১টি ও পাটগ্রাম উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ২৮টি ও পাটগ্রাম পৌরসভা এলাকায় ৪টি পূজামন্ডব রয়েছে।
লালমনিরহাট পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্র জানায়, এবার জেলায় ৪শ ৬৩টি পূজামন্ডব রয়েছে। লালমনিরহাট জেলা সদর উপজেলার ১শ ৬০টির মধ্যে লালমনিরহাট পৌরসভায় ২৫টি, মোগলহাট ইউনিয়নে ২১টি, কুলাঘাট ইউনিয়নে ১২টি, হারাটি ইউনিয়নে ১৫টি, বড়বাড়ী ইউনিয়নে ৯টি, গোকুন্ডা ইউনিয়নে ২১টি, পঞ্চ গ্রাম ইউনিয়নে ২০টি, রাজপুর ইউনিয়নে ৮টি, খুনিয়াগাছ ইউনিয়নে ১৪টি, মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নে ১৫টি।
আদিতমারী উপজেলার ১শ ১৪টির মধ্যে দূর্গাপূর ইউনিয়নে ১০টি, ভেলাবাড়ী ইউনিয়নে ১৪টি, কমলাবাড়ী ইউনিয়নে ১৬টি, সারপুকুর ইউনিয়নে ২৪টি, সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়নে ৫টি, ভাদাই ইউনিয়নে ২৮টি, পলাশী ইউনিয়নে ১১টি, মহিষখোচা ইউনিয়নে ৬টি।
কালীগঞ্জ উপজেলার ৮৯টির মধ্যে ভোটমারী ইউনিয়নে ৫টি, মদাতী ইউনিয়নে ১৪টি, তুষভান্ডার ইউনিয়নে ১২টি, দলগ্রাম ইউনিয়নে ৯টি, কাকিনা ইউনিয়নে ৭টি, চলবলা ইউনিয়নে ১৬টি, গোড়ল ইউনিয়নে ১৪টি, চন্দ্রপুর ইউনিয়নে ১২টি।
হাতীবান্ধা উপজেলার ৭১টির মধ্যে বড়খাতা ইউনিয়নে ৩টি, ফকিরপাড়া ইউনিয়নে ৪টি, গড্ডিমারী ইউনিয়নে ১টি, সিংগিমারী ইউনিয়নে ২টি, টংভাঙ্গা ইউনিয়নে ১৭টি, সিন্দুর্না ইউনিয়নে ৪টি, পাটিকাপাড়া ইউনিয়নে ৩টি, ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নে ৩টি, নওদাবাস ইউনিয়নে ১২টি, গোতামারী ইউনিয়নে ১০টি, ভেলাগুড়ি ইউনিয়নে ১২টি।
পাটগ্রাম উপজেলার ২৮টির মধ্যে পাটগ্রাম পৌরসভায় ৪টি, পাটগ্রাম ইউনিয়নে ২টি, শ্রীরামপুর ইউনিয়নে ২টি, বুড়িমারী ইউনিয়নে ১টি, জগতবেড় ইউনিয়নে ৬টি, জোংড়া ইউনিয়নে ৬টি, বাউড়া ইউনিয়নে ৬টি, দহগ্রাম ইউনিয়নে ১টি।
প্রতিমা কারিগর বাচ্চু পাল বলেন, প্রতিমা তৈরি করে আমরা আনন্দ পাই যখন ভক্তরা তার প্রশংসা করেন। প্রতিমা তৈরির রঙ, চুলসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। তিনি আরো বলেন, দুর্গাপূজার আয়োজন প্রায় ৩ মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে হয়। এছাড়া লক্ষ্মী, কালীপূজার প্রতিমা তৈরির কাজও একই সঙ্গে করতে হয়। এ সময়ে প্রতিমা তৈরির শিল্পীদের ব্যস্ত থাকতে হয়।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ লালমনিরহাট পৌর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহিন চন্দ্র রায় বলেন, আগামী শুক্রবার (২০ অক্টোবর) ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে দূর্গা পূজা শুরু হবে। আগামী মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দশমী ও বিসর্জনের মাধ্যমে শারদীয় পূজা সমাপ্ত হবে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ লালমনিরহাট জেলা শাখার সভাপতি হীরা লাল রায় বলেন, বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহম্মদ উল্লাহ্ বলেন, প্রতিটি পূজামন্ডপে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। সব পূজামন্ডপে পুলিশ, আনসার নিয়োগের পাশাপাশি ব্যার বাহিনী টহল দিবেন। এছাড়াও ঝুঁকিপূর্ন পূজামন্ডপে বিশেষ নজর রাখা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন