লোক ঠকিয়ে ব্ল্যাকমেল, ডিজে শিখা গ্রেফতার
মানুষকে ঠকিয়ে ব্ল্যাকমেল করার অপরাধে ডিজে শিখা তিওয়ারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বছরের ডিসেম্বর থেকেই শিখা তিওয়ারি নামে ২১ বছরের ওই তরুণীকে চোখে চোখে রাখছিলেন ভারতের রাজস্থান স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি)-এর আধিকারিকেরা।
পেশায় ডিস্ক জকি (ডিজে)। তবে সেটাই শিখার আসল পরিচয় নয়। বরং পুলিশের দাবি, শিখা আসলে অনৈতিক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। বিত্তশালীদের ফাঁসিয়ে ব্ল্যাকমেল করাই তার আসল ‘পেশা’।
গত বছরে ভারতের জয়পুরের এক চিকিৎসককে ঠকিয়ে তার কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা নিয়ে চম্পট দেন তিনি। টাকা নিয়ে মুম্বাইয়ে ওঠেন। সেখানেই ডিজে হিসাবে কাজ শুরু করেন। সম্প্রতি ফেসবুকে তার লাইভ অনুষ্ঠানের সূত্র ধরেই পুলিশের জালে ধরা পড়লেন শিখা।
রাজস্থানের এসওজি-র এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত বছরে একটি মধুচক্রের হদিশ পান তারা। তাতেই উঠে আসে শিখার নাম। মূলত চিকিৎসক বা রিয়েল এস্টেট এজেন্টরাই ছিলেন তার শিকার। ডিসেম্বর থেকেই শিখাকে ধরতে অনুসন্ধান চালাতে থাকেন তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করতে চেয়ে গত বছর সুনিত সোনি নামে জয়পুরের এক চিকিৎকের সঙ্গে দেখা করেন শিখা। সেখান থেকেই সুনিতের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন তিনি। দু’জনে একসঙ্গে পুষ্করেও বেড়াতে যান।
পুষ্করেই সুনিতকে হুমকি দিয়ে টাকার দাবি করতে থাকেন তিনি। মিথ্যা সম্ভ্রমহানীর মামলায় সুনিতকে ফাঁসিয়ে দেবেন এই হুমকি দিয়ে তার কাছ থেকে ২ কোটি টাকা দাবি করেন শিখা। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তার বিরুদ্ধে গত ২৪ ডিসেম্বর পুলিশে সম্ভ্রমহানীর অভিযোগ দায়ের করেন শিখা।
সেই মামলায় ৭৮ দিন জেলেও কাটাতে হয় সুনিতকে। তবে শেষমেশ ছাড়া পেলেও শিখার হাত থেকে মুক্তি পেতে টাকা দেয়াই স্থির করেন সুনিত। প্রথম দফায় এক কোটি এবং পরে শিখাকে ৫০ লাখ টাকাও দেন তিনি। সেই টাকা নিয়েই মুম্বাইয়ে পালিয়ে যান শিখা।
মুম্বাইয়েই একটি হোটেল ‘ডিজে আদা’ নাম ভাঁড়িয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। কিন্তু সব ভেস্তে গেল ফেসবুকে লাইভ অনুষ্ঠান করে। পুলিশের দাবি, শিখার মতোই মানুষকে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে বহু লোককে ব্ল্যাকমেল করতেন অনৈতিক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সদস্যরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন