শনিবারেও ঢাকাসহ সারাদেশে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে শনিবার (২৪ অক্টোবর) ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারিবর্ষণ হতে পারে। আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
এদিকে শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) ভোর থেকেই রাজধানী ঢাকা ও উপকূলীয় জেলাগুলোসহ সারাদেশে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিভিন্ন রুটে অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। তবে কক্সবাজারে বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে বাতাসও।
আর আগে বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) গভীর রাত থেকে রাজধানীতেও ঝুমবৃষ্টি শুরু হয়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিও কমতে থাকে। শুক্রবার সকাল থেকে কিছুটা কমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে রাজধানীতে। কোথা কোথাও বৃষ্টির পানি জমে রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে যে কোনও ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে নৌপথে বন্ধ রয়েছে ছোট আকৃতির নৌযান চলাচল।
আবহাওয়ার ৪ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৬টায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে।
গভীর নিম্নচাপটির প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন