শরণখোলায় বিতর্কিত প্রধান শিক্ষকের যোগদান, প্রতিবাদে শিক্ষাথীদের স্কুল বর্জন
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ৭ নং রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ২৪ জানুয়ারি প্রধান শিক্ষক হিসেব যোগদান করেন নাছরিন নাহার নামে এক বদলী শিক্ষিকা।
তার যোগদানের পর থেকেই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এমন কি ওই শিক্ষিকা যোগদানের পর থেকেই অভিভাবকরা তাদের ছেলেমেয়েদের ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেন।
যার কারনে বিদ্যালয়টি এখন শিক্ষার্থী শুণ্য। এমন খবরে রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় ৭ নং রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় ছাত্রছাত্রী শুণ্য প্রতিটি কক্ষ ।
এমন কি স্কুলের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরও করেননি শিক্ষকরা। এসময় বিদ্যালয়ের আশপাশে বসবাসকারী অভিভাবক আব্বাস গাজি,মিলন হাওলাদার,স্বপন বিশ্বাস ও স্থানীয় ইউপি সদস্য রহমান হাওলাদারের সাথে কথা বললে তারা জানান,নাছরিন নাহার একজন বিতর্কিত শিক্ষিকা ।
তার বিরুদ্ধে নলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মালামাল চুরি করে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। তার মতো একজন বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক যদি এই স্কুলে থাকে তাহলে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া হবেনা ।
তাই ওনি থাকলে তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন না। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও রাজাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নান্না মিয়া হাওলাদার বলেন,গত বুধবার প্রধান শিক্ষক হিসেবে নাছরিন নাহার যোগদান করতে এসে দেখেন বিদ্যালয়ে তালা দেওয়া।
এরপর ইউএনও মহোদয়কে বিষয়টি জানানো হয়। পরে টিও নিজে এসেও দেখে গেছেন । আজ শনিবার দেখলাম বিদ্যালয়ে কোনো ছাত্রছাত্রী আসেনি। তবে দুই পক্ষের উচিত হবে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার কথা মথায় রেখে এর সমাধান করা।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছরিন নাহার বলেন,তিনি ১১০ নং নলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বদলীজনিত কারণে গত ২৪ জানুয়ারি ৭ নং রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করতে এসে দেখেন স্কুলের গেটে তালা মারা। তাই তিনি বাহিরেই অপেক্ষা করে চলে যান।
এর পরদিন সকালে স্কুলে এসে বসলেও কোনো হাজিরা খাতা পাননি । এমনকি অন্যান্য শিক্ষকরা হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরও করেন না। এবং সেই থেকে স্কুলে ছাত্রছাত্রীরাও আসছে না।
এখন তিনি ছুটি নিবেন তাও পারছেন না। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আশ্রাফুল ইসলাম বলেন,নাছরিন নাহারকে প্রসাসনিকভাবে গত ২৪ জানুয়ারি ৭ নং রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলী করা হয়েছে। এরপর থেকে দেখলাম শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম।
আজ আবার শুনলাম কোনো উপস্থিতি নাই। এলাকাবাসী দাবি করছেন মহিলা শিক্ষক হিসেবে স্কুলটি সে চালাতে পারবেন না। তাই তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে আসতে দিচ্ছেন না।
তবে বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণে রাখছি,যদি সবাইকে ম্যানেজ করে থাকতে না পারে তখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন