শরণখোলায় বোরো ধান কাটা উৎসবে এমপি সোহাগ
বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ বলেছেন, আমরা দেখেছি বিএনপি সরকারের আমলে কৃষকদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করতে হয়েছে। সারের দাবিতে মিছিল করায় ১৮জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে কোনো দাবি নিয়ে কৃষককে রাজপথে নামতে হয়নি। আর কোনোদিন রাজপথে নামতেও হবে না। কারণ বর্তমান সরকার কৃষকদের সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা এবং মর্যাদা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় শরণখোলায় বোরো ধান কাটা উৎসব উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন এমপি বদিউজ্জামান সোহাগ। উপজেলা কৃষিবিভাগের আয়োজনে রায়েন্দা ইউনিয়নের রাজেশ্বর গ্রামের একটি মাঠের পাকা বোরো ধান কেটে ফসল কর্তনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি।
এমপি বদিউজ্জামান সোহাগ তার বক্তৃতায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশ আজ খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। গবেষণার মাধ্যমে ধানসহ নতুন নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবন হচ্ছে। লবণাক্ত অঞ্চলের জন্য লবণ সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন করায় উপকূলে সারা বছরই ধানচাষ হচ্ছে এখন। মাঠে মাঠে নানান জাতের ফসল ফলছে।
কৃষকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এমপি সোহাগ আরো বলেন, কৃষকরা সুধু নিজেদের প্রয়োজনে কৃষিকাজ করেন না। তারা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে দেশের সমৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করছেন। সে কারণেই শেখ হাসিনার সরকার ভর্তুকির মাধ্যমে ৫৭ টাকায় সার কিনে মাত্র ২৭ টাকায় কৃষকদের মাঝে বন্টন করছে। কৃষকরা যেনো সরকারের সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে আমাদের সবার খেয়াল রাখতে হবে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে, শরণখোলার চারটি ইউনিয়নে এবছর ১হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং কৃষি বিভাগের সুষ্ঠু তদারকি ও পরামর্শে হেক্টর প্রতি সাড়ে ৬ মেট্রিক টন ফলন হয়েছে। প্রতি বিঘা জমি চাষাবাদে কৃষকের খরচ হয়ে ৮হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। বর্তমানে প্রতিমণ ধানের বাজার মূল্য এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০টাকা। দান বিক্রি করে কৃষক বেশ লাভবান হবেন। এবছর যে ফলন হয়েছে তাতে ৮ হাজার মেট্রিক টন ফসল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম তারেক সুলতানের সভাপতিত্বে ফসল কর্তন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাহী সদস্য এম সাইফুল ইসলাম খোকন, প্রবীন আওয়ামীগ নেতা এম এ রশিদ আকন, শহীদ হোসেন বাবুল আকন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত, আওয়ামীলীরে সভাপতি আজমল হোসেন মুক্তা, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাছানুজ্জামান পারভেজ, কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার প্রমূখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন