শরীরে কোন কোন অংশে তিল থাকা ভয়ংকর!
হাতের রেখাতেই যে ব্যক্তির ভাগ্য লেখা রয়েছে, তা কিন্তু একেবারেই নয় ৷ জ্যোতিষ শাস্ত্র বলছে, মানব দেহের শরীরে থাকা তিলও ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয় ৷ শরীরে তিলের স্থান ভেদে ভাগ্যের ঘটের নানা পরিবর্তন।
তিলের আয়তন, রং ও আকার। অর্থাৎ চারটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে তিলের ফলাফল। তিল খুব বেশী গাঢ় রংয়ের হলে ফল অশুভ। তিলের ওপর লোম বেশী হলে লক্ষণ অশুভ। স্থানভেদে এসব তিলের তাৎপর্য পাল্টে যায়।
গালে তিল-
ডান গালে তিল সৌভাগ্যের প্রতীক। বিবাহিত জীবনে এরা খুব সুখী হয়। অপরদিকে কোনো নারীর বা গালে তিল থাকলে দাম্পত্য জীবন নিরানন্দে কাটে। এদের কারও কারও কাছে সাফল্য ধরা দেয় ঠিকই, কিন্তু তা বহু কাঠখড় পোড়ানোর পর। ততদিনে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য অনেক দূর চলে যায়।
চিবুকে তিল-
চিবুকের যে কোনওদিকে তিল থাকা অতি সৌভাগ্যের লক্ষণ। চিবুকে তিলধারীরা খুব সহজে জনপ্রিয়তা পায়। রাজনীতিতে তাদের শক্ত অবস্থান হয়। পাশাপাশি তারা আর্থিক সৌভাগ্যবান হন। তারা প্রেমিক মনের হন। তবে অতিরঞ্জিত হওয়ার কারণে প্রেমিক-প্রেমিকার দূরত্ব বাড়ে।
কানে তিল-
ডান কানে তিলধারীরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত হন। বিশেষ করে পিতা-মাতার প্রতি একনিষ্ঠ হন। বাঁ কানে তিল দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নির্দেশ করে।
চোখে তিল-
ডান চোখের ভেতরে কিংবা আশপাশে তিল তীক্ষ্ণ বুদ্ধি-বিবেচনা বোঝায়। তারা আবার কখনো কখনো নিষ্ঠুরও হন। তবে বৈষয়িক কর্মকাণ্ডে সফল হন। বাঁ চোখে তিলধারীকে সাধারণত কর্ম ও ব্যক্তিজীবনে দুর্ভোগে পড়েন। বা চোখে তিলের কারণে দাম্পত্যে সন্দেহ বাড়তে পারে। শেষ বয়সে স্বাস্থ্যহানি ঘটতে পারে।
পিঠে তিল
পিঠে তিল থাকা উদারতার লক্ষণ। এরা দয়ালু ক্ষমতাবান সাহসী ও দৃঢ়চেতা হন। এরা যেমন পরামর্শ শোনেন, অন্যকে পরামর্শ দিতেও পছন্দ করেন। যুক্তিতর্কে তাদের সঙ্গে পেরে ওঠা কঠিন। আর পিঠের নিচের দিকে তিল থাকলে এরা কিছুটা আরামপ্রিয় হন; বিপরীত লিঙ্গের প্রতি দুর্ণিবার আকর্ষণ থাকে। পিঠের নিচ দিকে তিলধারী মেয়েরা হন যথেষ্ট আবেদনময়ী।
বাহুতে তিল-
ডান বাহুতে তিল থাকা সৌভাগ্যের পরিচায়ক। এরা বুদ্ধি ও শক্তিতে বেশ এগিয়ে থাকেন। আর্থিকভাবেও স্বাচ্ছন্দ্যে থাকেন। এদের দাম্পত্য জীবন হয় মধুর। বাম বাহুতে তিল থাকলে দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়তে চায় না।
গোড়ালিতে তিল-
গোড়ালিতে তিলধারীরা পণ্ডিত মনষ্ক হন। মেয়েদের গোড়ালিতে তিল থাকলে কাজ-কর্মে চটপটে হন। বিশেষ করে রান্না-বান্নায় পারদর্শী হন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন