শর্তহীন যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া

সীমান্তে চলমান সংঘাতের অবসানে তাৎক্ষণিক ও শর্তহীন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া।

সোমবার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এ ঘোষণা দিয়েছেন। খবর সিএনএনের।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, দুই দেশের নেতারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছেন এবং সেটি সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর হবে। এ সিদ্ধান্ত এসেছে পাঁচ দিন ধরে চলা গোলাবর্ষণ ও পাল্টাপাল্টি হামলার প্রেক্ষাপটে, যার ফলে সীমান্ত এলাকা থেকে দুই লাখেরও বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

সোমবার সকালে কুয়ালালামপুরে থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত বৈঠকে বসেন। বৈঠকটি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ‘সেরি পেরদানা’-তে অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন বলে জানা গেছে। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন এবং দ্রুত যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর আহ্বান জানান।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি সংঘাত নিরসনে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

তবে বৈঠকের আগ মুহূর্তেও দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির খবর পাওয়া যায়। থাইল্যান্ড দাবি করেছে, কম্বোডিয়ার কর্মকাণ্ডে সৎ উদ্দেশ্য নেই। অন্যদিকে, কম্বোডিয়া অভিযোগ করেছে, থাইল্যান্ড তাদের ভূখণ্ডে ভারী অস্ত্র ও বিপুলসংখ্যক সৈন্য নিয়ে হামলা চালিয়েছে।

উভয়পক্ষই সংঘাতের জন্য একে অপরকে দায়ী করছে। চলমান সহিংসতায় অন্তত ৩৫ জন নিহত এবং ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। দশক ধরে চলা সীমান্ত বিরোধ এবারই সবচেয়ে গুরুতর আকার ধারণ করেছিল।