শহিদুলের মুক্তি চেয়ে নিউইয়র্কের আকাশে ওয়াসফিয়ার বার্তা

কারাবন্দী ফটোগ্রাফার শহিদুল আলমের মুক্তির দাবীতে একটি ব্যানার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের আকাশে সোমবার প্রায় দেড় ঘণ্টা চক্কর দিতে দেখা যায় একটি বিমানকে। ব্যানারটি উড়িয়েছেন বিশ্বের সর্বোচ্চ সাতটি পর্বতচূড়া জয়ী প্রথম বাংলাদেশি ওয়াসফিয়া নাজরিন।

ব্যানারে শহিদুল আলমের ছবির পাশে লেখা ছিল ‘আমাদের শিক্ষকদের মুক্তি দিন’। এর পাশে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন (UNGA) এবং বাংলাদেশ হ্যাশট্যাগও যোগ করা হয়।

পরে নিজের ফেসবুকে পেজে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের অনুসন্ধানী ওয়াসফিয়া বলেন, ‘ড. শহিদুল আলম বাংলাদেশ এবং বহির্বিশ্বের কাছে অনুপ্রেরণার নাম। তার মতো সম্পদ ও গর্ব করার মতো মানুষকে বাংলাদেশিদের উচিৎ সম্মান করা। আমরা, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশ তরুণেরা, সরকারের কাছে অবিলম্বে তাকেসহ আমাদের সকল শিক্ষককে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। আমি আশা করছি, সম্মানিত নেতারা আমাদের এই বার্তার প্রতি মনোযোগ দিবেন।’

মানুষের মুক্তির প্রতীক স্ট্যাচু অফ লিবার্টির ওপর চক্কর দেয়ার সময় নিচে সমবেত অনেক মানুষকে হর্ষধ্বনি দিতে দেখা যায়। ছবিতে দেখা যায় এইসময় আকাশে একটি রংধনুও সৃষ্টি হয়েছিল।

আগে, ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ সভার বাইরে বাংলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দাবীতে জড়ো হন প্রতিবাদকারীরা।

জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনেই আরেকটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সুরক্ষা বিষয়ক কমিটি শহিদুল আলমসহ, মিয়ানমার, কিরঘিস্তান, ও মিশরের সাংবাদিকদের বন্দী করার বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

ইতোমধ্যেই ১২ জন নোবেল পুরস্কার বিজয়ীসহ বিভিন্ন অঙ্গনের প্রথিতযশা ব্যক্তি শহিদুল আলমের মুক্তির দাবী জানিয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু, কেরি কেনেডি, হলিউড অভিনেত্রী ও আন্দোলনকর্মী শ্যারন স্টোন, অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেন, ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক প্রমুখ।

দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলমকে গত ৫ আগস্ট ধানমন্ডির নিজ বাসা থেকে সাদা পোশাকধারী কয়েকজন লোক তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে গ্রেপ্তার অবস্থায় তিনি দাবি করেছেন, তাকে নির্যাতন করা হয়েছে।

এরপর নানান কারণ দেখিয়ে তার জামিন মঞ্জুর করা হয়নি। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।