শহিদুল আলমের মুক্তি চান আন্তর্জাতিক বুদ্ধিজীবীরা
দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে নির্যাতনের নিন্দা ও তার মুক্তি চেয়ে বিবৃতি দিয়েছেন মার্কিন তাত্ত্বিক, ভাষাবিদ ও রাজনীতি বিশ্লেষক নোয়াম চমস্কি, ভারতীয় উপন্যাসিক ও রাজনৈতিক সমালোচক অরুন্ধতি রায়সহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনের আলোচিত বুদ্ধিজীবীরা।
কানাডিয়ান লেখক নাওমি ক্লেইন ও ভারতীয় বুদ্ধিজীবী বিজয় প্রসাদসহ এসব বুদ্ধিজীবীরা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘তথ্য সংগ্রহ ও সমালোচনা মানবজীবনের মৌলিক একটা দিক। একটি রাষ্ট্রে যা ঘটে, তা বলার নাগরিকদের অধিকারের মধ্যে পড়ে। সে কাজে বাধা দেয়া মৌলিক অধিকারকে অস্বীকার করার সমান।’
হাজতে শহীদুল আলমকে নির্যাতন করা হয়েছে এবং জনপ্রিয় এ আলোচিত্রী ও শিক্ষককে আটকে রাখার ঘটনায় ব্যাপক ভীতি সঞ্চার হয়েছে তারা এমন প্রতিবেদন পেয়েছেন বলে বিবৃতিতে জানান।
এতে আরও বলা হয়, ‘শহিদুল ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে শিল্পকলা পদক পেয়েছেন এবং বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদই তার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।’
তারা বলেন, শহিদুলকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে এবং তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ থেকে রেহাই দিতে হবে। একই সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে বলেও বলা হয় বিবৃতিটিতে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাতে সাক্ষাৎকার দেয়ার ঘণ্টাখানেক পরই শহিদুলকে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। ‘উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যা বক্তব্য’ দেয়ার অভিযোগে ৬ আগস্ট তার বিরুদ্ধে রমনা থানায় আইসিটি আইনে মামলা করা হয়।
একই দিনে ডিবি পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আরমান আলী এই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রীকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন